সত্য গোপন, মিথ্যাচার এবং একটি খোলা চিঠি

জর্জ বার্নাড শ আমার খুব প্রিয় নাট্যকারদের একজন। মাঝে মাঝেই কিছু প্রিয় মানুষকে আমার কিছু প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে। জর্জ বার্নাড শ তাঁদেরই একজন। লন্ডনের ক্যাকস্টন হলে রবীন্দ্রনাথ যখন লীগ অব নেশনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছিলেন বার্নাড শ তখন হো হো করে হেসে উঠেছিলেন। সবাই নাকি পিছন ফিরে দেখছিলো তাঁকে। এমনকি রবীন্দ্রনাথও বক্তৃতা থামিয়ে একবার তাকিয়েছিলেন। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে- জর্জ বার্নাড শ সেদিন হেসেছিলেন কেনো? আজ হঠাৎ মনে হলো উত্তরটি পেয়ে গেছি। শঙ্খের ভেতরে যেমন মহাসমুদ্রের কল্লোল শোনা যায়, বার্নাড শ এর রচনাবলীতেই উত্তরটি লুকিয়েছিলো। ১৯২৮ সালে এক বক্তৃতায় এই আইরিশ নাট্যকার বলেছিলেন-

Patriotism is your conviction that this country is superior to all other countries because you were born in it.

না। রবীন্দ্রনাথ যে ভাষার সাহিত্যে ঐশ্বর্য সাজিয়েছেন, সে ভাষায় যারা কথা বলেন, তারা সকলেই নিজের জন্মভূমিকে ‘স্বর্গাদপি গরিয়সী’ মনে করেন না। আজকের এই সত্যটি বোধ করি সেদিন বুঝতে পেরেছিলেন বার্নাড শ। এখন বরং তাঁকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে- কী করে জানলেন, একদিন বাঙলাদেশ নামের একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। সেখানে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়-পাঠাগার-উপাসনালয় আর থাকবে ক্যান্টনম্যান্ট। কী করে জানলেন তিনি, যে রাজনীতির সূচনা হয়েছিলো মাঠে-ঘাটে, গ্রামে-গঞ্জে; লক্ষ কোটি জনতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে, তাই এক সময় গলিত চর্বির মতো গড়িয়ে পড়বে জলপাই রঙের অন্ধকার মেঝেতে। নিহত হবেন জাতির পিতা, সামান্য মেজর হঠাৎ বনে যাবে রাষ্ট্রপ্রধান! অতএব, অন্তত ৩০ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখে ওয়াশিংটন টাইমসের মতামত পাতায় প্রকাশিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার খোলা চিঠিটি পড়ার পর, বার্নাড শ কে একটি ধন্যবাদ দেয়া যেতেই পারে। একই সঙ্গে, যতোই আপত্তি থাকুক না কেনো, আমি ব্যক্তিগতভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই কেননা, উনিশশো একাত্তর সালে পাকিস্তানের ‘ডেমোক্রেসি’ রক্ষার জন্য জানোয়ার ইয়াহিয়া কীভাবে তৎকালীন মার্কিন প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছিলো, তা প্রত্যক্ষভাবে জানার সুযোগ না হলেও, ২০১৩ সালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দ্বারা পরিচালিত বাঙলাদেশের ‘ডেমোক্রেসি’ রক্ষার্থে বেগম খালেদা জিয়ার সেই একই প্রশাসনের কাছে ‘হস্তক্ষেপ করুন’ জাতীয় নির্লজ্জ প্রার্থনাপত্রটি পাঠের সুযোগ আমার হলো। ফ্ল্যাশব্যাকে গিয়ে দুয়ে দুয়ে চার মেলানোর কষ্টটা আমি নিজেই করে নিতে পারবো।

প্রকাশিত চিঠির সবটুকুতে যে ভাব ব্যক্ত করা হয়েছে, তা পড়ার পর অন্যদের কী মনে হয়েছে জানি না, আমার মনে হয় বেগম খালেদা জিয়া ভয়ঙ্কর রকমের স্মৃতি বিভ্রমে ভুগছেন। চিঠির শুরুতেই ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়া বাঙলাদেশের পরিচয় দেয়া হয়েছে (যদিও তারিখ উল্লেখ করা হয়নি), কিন্তু বাঙলাদেশের স্বাধীনতা যে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছে- তার কোনো উল্লেখ সেখানে নেই। প্রথম অনুচ্ছেদের একটি লাইন চোখে পড়ার মতো।

My country of 150 million people, located between India and Myanmar, has been independent since 1971, when the United States was one of the first nations to recognize our right to self-determination.

তাই কি? মুক্তিযুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের ভূমিকা সকলেরই জানা। ‘self-determination’ যদি আত্মপরিচয় হয়ে থাকে, তবে মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া সেখানে আর কোনো প্রত্যয়ই ব্যবহার্য নয়। তবে বক্তব্যটির মাঝে হেঁয়ালিও থাকতে পারে। অর্থাৎ, একটি পাকিস্তানি ভাবাদর্শে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলের প্রধান হিশেবে এ বক্তব্যটি ঠিক আছে। কারণ, পাকিস্তানের পক্ষে সেদিন মার্কিন প্রশাসন ছিলো সবচেয়ে বড়ো বন্ধু, ‘one of the first nations to recognize’।

দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক প্রসঙ্গ এসেছে। বক্তব্যের ভাবে বোঝা যায়, পদ্মা সেতুর জন্য ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের ঋণ বাতিলের সিদ্ধান্তে বিরোধীদলীয় নেত্রী যারপরনাই আনন্দিত। এখন প্রশ্ন হলো, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের একটি কার্যকর ভূমিকা থাকে, যা সরকারি দল অপেক্ষা কোনো অংশেই কম নয়, বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশি। যে ব্যক্তি বিরোধীদলীয় নেত্রী থাকা অবস্থায় দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পথে সৃষ্ট বাধাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানায়, তার নৈতিক চরিত্রই তো রাষ্ট্রবিরোধী। ‘পদ্মা সেতু প্রকল্প’-এ দুর্নীতি হয়ে থাকলে সংসদে গিয়ে কথা বলতে হবে। সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। ‘হাওয়া ভবন’ হাতছাড়া হবার পর যে মায়াকান্নার দৃশ্য আমরা দেখেছি, পদ্মা সেতুর জন্য কি সেই কষ্ট, সেই দরদ আমরা দেখেছি? এখন তো এই প্রশ্ন তোলাই যেতে পারে, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার হীন প্রয়াসের তলায় কি বিরোধীদলীয় নেত্রী ব্যক্তিগত লাভের গুড় খুঁজছেন? যে কথা তিনি সংসদে গিয়ে বলতে পারলেন না, সে কথা তিনি মার্কিন পত্রিকায় লিখে পাঠিয়েছেন! সত্যি, লেখালেখির প্রতি তার আগ্রহ দেখে চক্ষু চড়কগাছ হবার জোগাড়!

তৃতীয় অনুচ্ছেদে ডক্টর ইউনুস ও নোবেল পুরস্কার প্রসঙ্গ এসেছে। এ অনুচ্ছেদ পড়ে দুটো কথা মনে হয়েছে- প্রথমত, ইউনুস সাহেব নিজেই নিজেকে রাজনীতির বাইরে রাখতে পারেননি, শুধু শুধু রাজনৈতিক নেতাদের দোষ দিয়ে কোনো লাভ নেই। দ্বিতীয়ত, বেগম খালেদা জিয়া অ্যাটর্নি জেনারেলের যে বক্তব্য উদ্ধৃতি হিশেবে ব্যবহার করেছেন, তা পুরোটাই একটি বালখিল্য আচরণ হয়েছে। তিনি সম্ভবত বুঝতেও পারেন নি, প্রধানমন্ত্রীর সম্মানহানী করার এই জঘন্য কাজের মাধ্যমে তিনি আসলে বাঙলাদেশের মানুষকেও অপমান করেছেন, যে মানুষের কাছে তিনি আসছে নির্বাচনে ভোট চাইবেন। অপমান করেছেন বাঙলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে, যে রাষ্ট্রের কোষাগারের টাকা থেকে তিনি সংসদে না গিয়েও বেতন-ভাতা ভোগ করেন।

চতুর্থত অনুচ্ছেদে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব) প্রসঙ্গে আলোচনা এসেছে। কিন্তু সেখানে লেখা হয়নি ২০০৪ সালে কীভাবে ‘ক্রসফায়ার’ শব্দটি আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর নথিভুক্ত হলো। তখনকার কার্যক্রম কিছুই উঠে আসেনি লেখায়। তবে চতুর্থ অনুচ্ছেদটি প্রমাণ করে একটি বহু পুরোনো সত্য। বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীরা অনেক বড়ো রেফারেন্স। কেননা তিনি চতুর্থ অনুচ্ছেদের শেষ বাক্যে বলেছেন-

Political leaders and their supporters who are being accused by a local war crimes tribunal of involvement in atrocities during the 1971 war of independence also would question Ms. Hasina’s right to the Nobel Prize.

কী চমৎকার দেখা গেলো! লেজ এমনই নাড়ান নাড়াচ্ছে যে কুকুরের ম্যালেরিয়া কাঁপন উঠে গেছে।

পঞ্চম অনুচ্ছেদে বিরোধীদলীয় নেত্রী যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি যা বলেছেন, তা মূলত যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামীর বক্তব্য। এটি তার ও তার দলের অতীত ইতিহাসেও স্পষ্ট। ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদন উল্লেখপূর্বক তিনি যা বলতে চেয়েছেন, তা থেকে স্পষ্টই বোঝা যায়, কেনো জামায়াত ইসলামীর হরতালে বিএনপি’র নোংরা সমর্থন থাকে।

নালিশের সুরে ষষ্ঠ অনুচ্ছেদে বেগম খালেদা জিয়া বাঙলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্র হিশেবে চিহ্নিতকরণের অপচেষ্টা করেছেন। এই মিথ্যাচারের সময় তিনি বেমালুম ভুলে গেলেন যে, ২০০১ সালের পর কীভাবে গণতন্ত্রকে হাস্যষ্পদ উপাদানে পরিণত করেছিলো বিএনপি-রাজাকার জোট। নির্বাচনোত্তর সহিংসতা, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী, আহমদীয়া মুসলিম জামায়তের সদস্য বা ধর্মে অবিশ্বাসী মানুষদের ওপর নির্যাতন, জঙ্গীবাদের উত্থান, দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা, একুশে আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা, বিভৎস নারী ও শিশু নির্যাতন, লুটপাট ও রাষ্ট্রীয় কোষাগার লুটসহ নানাবিধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গণতন্ত্র ভূ-লুণ্ঠিত ছিলো, মানবতা ছিলো পদদলিত। বেগম জিয়া কি এই চিঠিটি লেখার আগে একবারও ভাবেননি যে, তার দলের শাসনামলে বাঙলাদেশ ছিলো দুর্নীতিতে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন। ২০০১ এর নির্বাচনের পর বিএনপি শাসনামলের এক বছরের খতিয়ান দেখলেই বোঝা যায়, কতোটা ভয়াল মেঘমালার নিচে ছিলো বাঙলাদেশ। অন্যদিকে ১৯৯১-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি’র শাসনামলের সঙ্গে ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলের খতিয়ান দেখলেও বোঝা যায়- কতোটা স্মৃতি বিভ্রাটে ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধীদলের নেত্রী।

সপ্তম, অষ্টম ও নবম অনুচ্ছেদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থার জন্য বিরোধীদলীয় নেত্রীর ফরিয়াদের কথা ফুটে উঠেছে; কিন্তু প্রশ্ন হলো, যাদের কাছে এই ফরিয়াদ, তাদের দেশে কি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচন হয়? বেগম জিয়া যদি এটিকে একটি সমস্যা হিশেবে চিহ্নিত করেন তবে অবশ্যই এর সমাধান করতে হবে রাষ্ট্রের সংসদে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপি’র ডাকা হরতালে যখন জামায়াতে ইসলামী তাদের যুদ্ধাপরাধী নেতাদের মুক্তির প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল করে, তখন বেগম জিয়া কেনো চুপ থাকেন? তবে কি এটাই বুঝতে হবে যে- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুটি আসলে ছল, বিএনপি আসলে চাইছে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বাধাগ্রস্থ করতে। খলের তো ছলের অভাব হয় না।

শেষ দুটো অনুচ্ছেদে বিরোধীদলীয় নেত্রী এতোটাই নিচে নেমে এসেছেন যে, বাঙলাদেশের একজন নাগরিক হিশেবে তাকে বিরোধীদলের নেত্রী ভাবতেও আমি লজ্জিত। এখানে তিনি সরাসারি বাঙলাদেশের গণতন্ত্র বিষয়ে মার্কিন হস্তক্ষেপ আশা করেছেন ঠিক সেভাবে, যেভাবে প্রভুর হস্তক্ষেপ কামনা করে তার প্রজারা। যে ব্যক্তি বিরোধীদলের নেত্রী হয়ে অন্য একটি রাষ্ট্রকে প্রভু হিশেবে মেনে নেয়, সে ব্যক্তি সরকারে প্রধান হলে রাষ্ট্র যে কতোটা তাঁবেদার হবে, তা বলাই বাহুল্য।

জর্জ বার্নাড শ’র কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম লেখাটি। লেখার শেষে এসে মনে পড়ছে অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের একটি কবিতা। অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ, যিনি বিএনপি-রাজাকার জোট সরকারের সময় নির্মম মৌলবাদী হামলার শিকার হয়েছিলেন এবং ১১ আগস্ট, ২০০৪ সালে মৃত্যুবরণ করেছিলেন মিউনিখে। কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু কাব্যগ্রন্থে পাওয়া যাবে তাঁর ‘দেশপ্রেম’ কবিতাটি। বিরোধীদলের নেত্রী যে দেশপ্রেমের পরিচয় দিলেন, তা ফুটিয়ে তোলার জন্য এ কবিতাটির চেয়ে ভালো কোনো উদ্ধৃতি আমার মাথায় আসেনি।

আপনার কথা আজ খুব মনে পড়ে, ডক্টর জনসন।

না, আপনি অমর যে-অভিধানের জন্যে, তার জন্যে নয়, যদিও আপনি

তার জন্যে অবশ্যই স্মরণীয়। আমি অত্যন্ত দুঃখিত তার জন্যে

আপনাকে পড়ে না মনে। আপনাকে মনে পড়ে, তবে আপনার

কবিদের জীবনীর জন্যেও নয়, যদিও তার জন্যেও আপনি অবশ্যই

স্মরণীয়। আমি আবার দুঃখিত, ডক্টর জনসন। আপনার কথা মনে পড়ে

সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে; আপনার একটি উক্তি আমার ভেতরে বাজে

সারাক্ষণ। আড়াই শো বছর আগে একবার আপনার মুখ থেকে

বের হয়ে এসেছিলো একটি সত্য যে দেশপ্রেম বদমাশদের

শেষ আশ্রয়। আপনার কাছে একটি কথা জানতে খুবই

ইচ্ছে করে স্যামুয়েল জনসন;- কী ক’রে জেনেছিলেন আপনি

এই দুর্দশাগ্রস্ত গ্রহে একটি দেশ জন্ম নেবে একদিন,

যেখানে অজস্র বদমাশ লিপ্ত হবে দেশপ্রেমে? তাদের মনে ক’রেই কি

আপনার মুখ থেকে উচ্চারিত হয়েছিলো এই সত্য?

ডক্টর জনসন, আপনি আনন্দিত হবেন জেনে যে বদমাশরা

এখানে দেশের সঙ্গে শুধু প্রেমই করছে না, দেশটিকে

পাটখেতে অলিতে গলিতে লাল ইটের প্রাসাদে নিয়মিত করছে ধর্ষণ।

১৯ মাঘ, ১৪১৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *