বিপন্নতাকে কৃষ্ণচূড়ায় পাল্টে ফেলার দশক

বাংলাদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসে গত শতাব্দীর ষাটের দশক এক অবিস্মরণীয় গণজাগরণের দশক। মূলত এই দশকের আলোতেই রচিত হয়েছিল বিংশ শতাব্দীর অলোকসামান্য ঘটনা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। পৃথিবীব্যাপী মুক্তিকামী মানুষের কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সর্বকালের এক অখণ্ড অনুপ্রেরণা। বাংলার মানুষের মুক্তিসংগ্রামের যে বীজ সাংস্কৃতিক ভূমিতে রোপিত হয়েছিল বিংশ শতাব্দীর প্রথম পর্বে, তার রাজনৈতিক বিকাশ প্রাপ্তির সময় হিসেবে চিহ্নিত…

প্রদর্শনী নয়, আমি একটি বিদ্রোহ দেখেছিলাম

এক আশ্চর্য অগ্রহায়নের সন্ধ্যা তার সবটুকু বিষণ্নতাকে ছুটি দিয়ে একান্তই আমাদের হয়ে গিয়েছিলো। নগরীর জ্যাম ঠেলে গ্যালারি টোয়েন্টি ওয়ানে এসে আমরা দেখলাম জীবনের গায়ে রৌদ্র মাখাতে গেলে কার্যত পেরিয়ে আসতেই হয় স্যাঁতস্যাঁতে উঠোন এবং পুনর্বার তার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু কথাটা যতো সরল তার বাস্তবায়নের ইশতেহার ততোটা কঠিন। কেননা শেষ পর্যন্ত জীবনের সংজ্ঞা, বলা ভালো…

জেনোসাইডের নীরব সাক্ষী

আমার কী নাম? নামফলক দেখে হয়তো বলে দিতে পারবে অনেকেই। কেউ কেউ কপাল কুঁচকে বলবেন- পাথরের আবার নাম! জড় পদার্থের নামের কী দরকার? কিন্তু আমি কি কেবলই জড় পদার্থ? কেবলই কি এক অসাড় চলৎশক্তিহীন পাথর আমি? কেউ কী কখনো আমার পাশ দিয়ে যাবার সময় একবার ফিরে তাকিয়েছো? একবার ভেবে দেখেছো- আমি আসলে কথা কইতে জানি,…

সেই আটটি স্মারক ডাকটিকেট

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ- এ যেনো এক মহীরূহ। নানা বর্ধিষ্ণু সীমা-পরিসীমা তার। ইতিহাসের অলি-গলি ঘুরে যখনই কেউ এসে পড়বেন এই অনন্য অধ্যায়ে- বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে তখনই তার অবস্থা দাঁড়াবে ‘প্রাণের আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি’র মতো, ফলে ‘অকারণ পুলকে’ তিনি খুঁজে ফিরবেন ‘স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি’। উনিশশো একাত্তর এমনই এক ইতিহাস, ‘পুরাতনী তুমি নিত্য নবীনা’ বাঙালির আত্মজ অহঙ্কারের সাথে…

মুক্তিযুদ্ধের চিত্র ও ভাস্কর্যশিল্প

আকাশের কোনো সূচীপত্র নেই, বস্তুত লাগেও না; কোথায় তার শুরু, কোথায় শেষ— তার কোনো ইতিহাস নেই। আকাশের কেবল আছে বিশালতা, অপরূপ সৌন্দর্য, অনন্য অখণ্ডতা; প্রাণময় মহৎ কোনো অনুভূতির মতো আকাশটা কখনো বিবর্ণ আবার কখনো রঙিন আর উচ্ছ্বল অর্থদ্যোতনায় ঋদ্ধ। এই আকাশের মতোই বাঙালির ইতিহাস— ঐশ্বর্যমণ্ডিত, অবিস্মরণীয় ও প্রবাদপ্রতিম। বাঙালি জাতি, বাঙলা ভাষা ও বাঙলাদেশ— একই…