রক্তবমির দাগ

না। পৃথিবীতে আর কোনো কলেরা হাসপাতাল পাওয়া যাবে না, যেখানে শ্রী ঋত্বিককুমার ঘটকের রক্তবমনের চিকিৎসা হতে পারে। এই উজ্জ্বল চক্ষু মাতাল দণ্ডিত বন্দীর মতো তাঁর সৃষ্টির চাবুক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সভ্যতার সদর দরজায়— এবং আমরা, এই কসমোপলিটন পৃথিবীর বাসিন্দারা, এই ক্ষয়িষ্ণু পৃথিবীর শবযাত্রায় অংশগ্রহণের পূর্বে তাঁর সৃষ্টির দিকে তাকাতে পারি এবং নির্দ্বিধায় সাহসী হতে পারি…

রবীন্দ্র-উপন্যাসের যাত্রা: বউ ঠাকুরানীর হাট

রবীন্দ্রনাথ কে? এ প্রশ্নটির উত্তর খুঁজতে হলে রবীন্দ্রনাথকে পড়তে হবে, তাঁর সামগ্রিক সৃষ্টিসত্তার কাছে নিজেকে মেলে ধরতে হবে। এটা এই জন্য যে- রবীন্দ্রনাথ নিজেকে বিকশিত করেছেন ক্রমে ক্রমে, কুসুমের মতো; তিনি ধীর লয়ে অবগাহনের সঙ্গীত হয়ে উঠেছেন এবং ক্রমান্বয়ে সুরের ধারায় সৃষ্টি করেছেন নবতর তরঙ্গ। তাই, রবীন্দ্রনাথই একমাত্র বাঙালি, যাঁকে খুঁজে পড়তে হয় এবং পড়তে…

‘কবি’- তারাশঙ্করের তর্পণ ও তপস্যার দর্পণ

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর বাঙলা কথাসাহিত্যের এক প্রাতঃস্মরণীয় নাম। একালে সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বের আগ্রাসী তৎপরতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে মানব অস্তিত্বকে; নৈরাজ্য-নৈরাশ্য-অনিশ্চয়তা-ক্লেদ-শঙ্কা আর মনস্তাপে বৃহদাংশ মানুষ খনন করেছে আত্মপ্রতারণার নির্বিঘ্ন বিবর। অপরদিকে সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের ইতিবাচক দৃষ্টান্ত অধিকার সতর্ক একাংশ মানুষকে করেছে আশাবাদে সন্দীপিত, প্রাণিত করেছে স্বপ্নময় আলোকময় ভবিষ্যত রচনায়। তবুও প্রত্যাশার বিপরীতে নিরাশার আধিপত্যই মহাসমরোত্তর বিশ্বমানসের প্রবল ও…