আমি শপথ করছি যে…

মঞ্চে আলো জ্বলে উঠলে মিলনায়তনে নেমে আসে অন্ধকার। খানিকটা অশরীরী অন্ধকার। কিংবা এ অন্ধকারকে বলা যেতে পারে আমাদের চৈতন্যের মুদ্রাদোষ—যা সংক্রমিত হচ্ছে, গ্রাস করছে আমাদের সর্বস্বকে এবং শেষতক আছড়ে পড়ছে আমাদেরই গড়ে তোলা সমাজে-রাষ্ট্রে-প্রতিষ্ঠানে। সময়ের বিচারে কতোগুলো শব্দ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে, অথচ সেই সব শব্দের শব ঘিরে আমাদের আয়োজন আজও অটুট। এবং এ আয়োজনও আমাদের…

আজ চৌদ্দই ডিসেম্বর: একাত্তরের এইদিনে আকাশ থমকে ছিলো

আজ চৌদ্দই ডিসেম্বর। বিপন্নতার অমোঘ সুরে বাঁধা এক মহার্ঘ অর্কেস্ট্রা। ১৯৭১ সালের মহাকাব্যিক মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি দিনই ছিলো মানবিক-অমানবিক বিভিন্ন অনুভূতির এক মৌলিক আখ্যান। পঁচিশে মার্চ থেকে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে তীব্র সূর্যমুখী প্রতিবাদ শুরু করেন বাঙলার মুক্তিকামী মানুষেরা, তারই সার্থক এপিক শিরোনাম— মুক্তিযুদ্ধ। বাঙলার মানুষের ঐতিহ্যগত চেতনার সাতসুর যেমন গভীরে প্রোথিত এক…

শালপ্রাংসু মহীরূহ অথবা প্রেরণার মাস্টহেড

আজ ১০ ডিসেম্বর। একেবারে গুণে গুণে চল্লিশটি বছর আগে চলে যান। সময়কাল ১৯৭১ সাল। ১০ ডিসেম্বর। বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাঙালি— একেবারে চেতনার অগ্নিগর্ভ মশাল জ্বালিয়ে বাঙালি তার স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনছে, জয় বাঙলা ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে দশদিক। একাত্তর সাল বাঙালির নির্ভিক প্রেরণার উৎস; কথাটাকে আরও একটু খোলাসা করা দরকার। বাঙালির আত্ম-পরিচয় প্রতিষ্ঠার সংগ্রামটি শুরু হয় অনেক আগে…

আমি আমার আত্মার আত্মীয়দের কথা বলছি

এই লেখাটির ক্ষেত্রে আমার প্রথম প্রেরণা ও অনুসন্ধান ছিল গবেষক সাজিদ হোসেনের গবেষণাগ্রন্থ একাত্তরের যুদ্ধশিশু: কতটা ভালোবাসায় কতটা অবহেলায় বইটি। যুদ্ধশিশুদের ছবিগুলোও তাঁর গ্রন্থ থেকেই নেয়া।   ঘড়ির কাঁটাও মাঝে মাঝে পেছনে ঘুরে; সভ্যতার দীপ্র দুপুরে নামে মধ্যযুগীয় অন্ধকার। সে-ই অন্ধকারে রাজপথে নামে দানব, হুঙ্কারে আতঙ্কিত হয় চারদিক, নেমে আসে মৃত্যু-তুহিন এক প্রকট প্রলয়। ১৯৪৭…