ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেছেন তাঁর সহকর্মী, একই বিভাগের অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ। বিভাগের প্রশাসনিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে—গণমাধ্যমসূত্রে এই তথ্য আমরা জানতে পেরেছি। এর সংযুক্তি আরেকটি তথ্য হচ্ছে, মামলাটি দায়ের করার মাত্র তিনদিন আগেই তথ্যপ্রযুক্তি আইনের এই নিপীড়নমূলক ধারাটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছিলেন এই বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। সেই প্রতিবাদে মামলার বাদী অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। সহকর্মীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত এই ধারায় মামলা দায়েরের পক্ষে গণমাধ্যমে সাফাই বক্তব্য দিয়েছেন অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ। গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন—যেহেতু আইনটি বলবৎ, সেহেতু তিনি এই আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁর এই বক্তব্যের মধ্যে এক ধরনের দ্বিচারিতা আছে। নিপীড়নমূলক ৫৭ ধারাটি বাতিলের দাবিতে তিনি প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন আবার সে-ই আইনেই তিনি সহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করছেন। অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদের এই মামলা দায়েরের মধ্য দিয়ে ৫৭ ধারার যে জঘন্য ব্যবহার, তা আবারও আমাদের সামনে উন্মোচিত হলো। ‘সম্মানহানি’, ‘অনুভূতিতে আঘাত’ ইত্যাদি বায়বীয় শব্দমালার জোরে ৫৭ ধারার যে কদর্য রূপ আমরা ২০১৩ সাল থেকে দেখে আসছি, তাতে এই মামলা আরেকটি সংযোজন মাত্র।
কালো আইন ৫৭ ধারা নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা চলছে বহুদিন যাবৎ। কিন্তু এই কালাকানুনটি বাতিলের বিষয়ে সরকারের দিক থেকে কোনো উদ্যোগই আমাদের চোখে পড়ছে না। উল্টো এই দমনমূলক আইনের মাধ্যমে একে একে দেশের মুক্তচিন্তক লেখক, ব্লগার, প্রকাশক, শিক্ষক, গবেষক, গণমাধ্যমকর্মীসহ নানা পেশার মানুষের কণ্ঠরোধের স্বৈরাচারি উৎসব চলছে চারপাশে। ২০০৬ সালে এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছিলো ভিন্নমতাবলম্বীদের কণ্ঠরোধের জন্য, ২০১৩ সালে এতে সংশোধনও আনা হয়েছে সে লক্ষ্যেই। নাগরিকের মত ও ভাব প্রকাশের যে সংবিধান স্বীকৃত অধিকার, তার সঙ্গে এই তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা সাংঘর্ষিক। এ কারণেই উচ্চ আদালতে এই কালো আইন ৫৭ ধারা বাতিলের জন্য রিট আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কী নির্মম! এই রিট আবেদনকারীদের অন্যতম অধ্যাপক ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধেই ৫৭ ধারায় মামলা করা হলো! আরও নির্মম পরিহাস হলো, মামলাটি যিনি করেছেন, তিনি আবার এই ধারা বাতিলের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশেও অংশ নেন। ‘সম্মানহানি’ না করে অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদের কাছে বিনীত জিজ্ঞাসা—তিনি কি ভেবে দেখবেন কতোটা কাণ্ডজ্ঞানহীন তাঁর এই আচরণ?
দুই
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দুই শিক্ষকেরই বক্তব্য আমরা গণমাধ্যম মারফৎ জানতে পেরেছি। সুতরাং সাধারণ নাগরিক হিশেবে তাঁদের বক্তব্যগুলো নিয়ে নির্মোহ ও যুক্তিযুক্ত আলোচনা হতেই পারে। তাঁদের বক্তব্য থেকে একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ (১৯৭৩)- এর কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন, অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ ফেসবুকে প্রশাসনিক বিষয় শেয়ার করার প্রসঙ্গে বলেছেন—
১৯৭৩ সালের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী তিনি (অধ্যাপক ফাহমিদুল হক) এসব বিষয় (অ্যাকাডেমিক বিষয়) শেয়ার করতে পারেন না।১
আবার অ্যাকাডেমিক কোনো বিষয় ফেসবুকে শেয়ার করা যায় কি না এ প্রেক্ষিতে অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেছেন—
(করা) যেতে পারে। তবে সীমারেখাগুলো স্পষ্ট করে বলা নেই কোথাও।২
একজন সাধারণ নাগরিক হিশেবে আমার মনে হয়েছে অধ্যাপক ফাহমিদুল হকের বক্তব্য যুক্তিযোগ্য। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ (১৯৭৩)- এ সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ে কিছু লেখা নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান পদ্ধতি সম্বন্ধে অধ্যাদেশের ৭(২) ধারায় লেখা আছে—
অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শিক্ষাদান করার বিষয়ে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব শিক্ষকের।৩
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যে কোনো বিচারে যোগাযোগের সবচেয়ে তড়িৎ ও কার্যকর পন্থা। তাছাড়া, অ্যাকাডেমিক নানান কাজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহূত হচ্ছে। সুতরাং শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে শিক্ষক এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতেই পারেন। অন্যদিকে, অধ্যাপক ফাহমিদুল হক গণমাধ্যমের কাছে তাঁর কাজের উদ্দেশ্যটিও পরিষ্কার করেছেন। তিনি কোনো পাবলিক পোস্টে কথাগুলো বলেননি। যে গ্রুপে তিনি আলোচনাটি করেছেন, সেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই উপস্থিত ছিলেন (শিক্ষার্থী ও শিক্ষক)। আমরা আরও জানতে পারি, অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ সে-ই গ্রুপে ছিলেন না, পরে তাঁকে সে-ই গ্রুপে যোগ করা হয় এবং এর কিছুক্ষণ পরই গ্রুপটি ডিলিট হয়ে যায়। গ্রুপটি ডিলিট কেনো করা হলো, সে প্রশ্ন বিবেচ্য; সুতরাং এই গ্রুপের অ্যাডমিনদের বিষয়টি পরিষ্কার করা উচিৎ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিংহভাগ ক্ষেত্রেই এখন আর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ (১৯৭৩) মানা হচ্ছে না। কিন্তু যে যার মতো বক্তব্য দেবার সময় একে ব্যবহার করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এদিকে নজর দেয়া জরুরি বলে মনে করি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্লাশ ম্যাটারিয়াল বা কোর্স সহযোগি আলোচনার কার্যকর দিকগুলো বিবেচনা সাপেক্ষে অধ্যাদেশে এই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
অধ্যাপক মনসুরের মামলা করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কি অনুমোদন ছিলো? এ বিষয়টি পরিষ্কার নয়, কেননা বাংলা ট্রিবিউনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক মনসুর বলেছেন—
ফাহমিদ (অধ্যাপক ফাহমিদুল হক) পরীক্ষা সংক্রান্ত যে মন্তব্য করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তার প্রতিকার চেয়েছি। আমাকে যে অপমান করা হয়েছে, তার জন্য আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এ অপমানের বিচার তো আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করতে পারবে না।
আবার দৈনিক প্রথম আলোতে পুলিশের সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়েছে—
বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের সবুজ সংকেতেই মামলাটি নেয়া হয়েছে।৪
বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ (১৯৭৩) অনুযায়ী অধ্যাপক আবুল মনসুরের বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা, এই অধ্যাদেশ যে কোনো বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে সমস্যা সমাধানের এখতিয়ার দিয়েছে। অধ্যাদেশের ৫২(১) ধারা অনুযায়ী উপাচার্য বরাবর আপিলের সুযোগ আছে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী তদন্ত কমিটি ও ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুযোগও আছে। এই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যাবার পরও যদি কোনো শিক্ষক মোনে করেন যে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন তাঁর প্রাপ্য বিচার থেকে, তবে রাষ্ট্রের নাগরিক হিশেবে তিনি অবশ্যই আইনের সাহায্য গ্রহণ করতে পারেন। সুতরাং, অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদের “অপমানের বিচার তো আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করতে পারবে না”—এ বক্তব্য সর্বৈব সঠিক নয়। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সবুজ সংকেতে যদি মামলাটি করাই হয়ে থাকে, তবে প্রশাসন ভয়াবহভাবে অধ্যাদেশ লঙ্ঘন করেছে। কারণ, দুজন শিক্ষকের মধ্যে এই অপ্রীতিকর ঘটনাটি ৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী মূলত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপেই সম্পন্ন হওয়া উচিৎ। এক্ষেত্রে প্রশাসন হয় দায় এড়িয়েছে, না হয় অধ্যাপক ফাহমিদুল হক যেহেতু এখনও কারও কাছে মেরুদণ্ড জিম্মা রাখেননি, তাঁকে একহাত নেবার জন্য দমনমূলক আইনের আশ্রয় নিতে বাদীকে উৎসাহিত করেছে।
বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের মাধ্যমে মামলার বিষয়বস্তুতে উল্লিখিত নানা বক্তব্যের মধ্যে একটি বিষয় আমার কাছে চমকপ্রদ মোনে হয়েছে। মামলার বিষয়বস্তুতে বাদী অধ্যাপক মনসুর উল্লেখ করেছেন—
উক্ত গ্রুপের (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এমএসএস ২০১৬ ষষ্ঠ ব্যাচের ফেইসবুকের ক্লোজড গ্রুপ) সদস্যদের নিকট আমার মান সম্মানের হানি ঘটেছে। এছাড়া অফিসের কিছু গোপন তথ্য তার পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভাবমূর্তি’র যে কী সংজ্ঞা তা আজও বোধগম্য হয়নি; তাছাড়া যে গৌরব আর ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার হিশেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নির্মিত হবার কথা, সে ভাবমূতি তো এখন প্রত্নপ্রাণিপ্রতিম। তাছাড়া নিকট অতীতে, এই ঘটনাটির ক্ষেত্রেই, অধ্যাদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। কিন্তু অধ্যাপক আবুল মনসুরের ‘গোপন তথ্য তার পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে’ অংশটুকু বিবেচনায় নেয়া উচিৎ। আমরা জেনেছি, আলোচনাগুলো হয়েছিলো ফেসবুকের একটি ক্লোজ গ্রুপে, যার সদস্য সংখ্যা ছিলো ৬৯ জন। অধ্যাপক ফাহমিদুল হকের পোস্ট ও তাতে বিভিন্ন মন্তব্যের স্ক্রীনশটসহ ১২ পাতার নথি তিনি মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করেন। একটি ক্লোজ গ্রুপের (যা কেবল একটি নির্দিষ্ট বিভাগের নির্দিষ্ট ক্লাশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ) পোস্ট ও মন্তব্য তিনি প্রকাশ করতে পারেন কি না, তা নিয়ে আইনগতভাবে প্রশ্ন তোলা যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনি চাইলে সেটা উদ্ধার করতে পারেন তাঁদের তদন্তের স্বার্থে, কিন্তু বাদী সেটা প্রিন্ট করতে পারেন কি না, সেটা বিবেচনা করতে হবে। ফেসবুকেরও ক্লোজ ও সিক্রেট গ্রুপের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী হয়েও অধ্যাপক আবুল মনসুর আহামেদ সে নীতিমালা ভঙ্গ করেছেন। তিনি কি মন্তব্যগুলোর স্ক্রীনশটের প্রিন্ট করার সময় সকল মন্তব্যকারীর অনুমতি নিয়েছিলেন? এ বিষয়গুলো বিবেচনায় না নিয়ে শিক্ষক রাজনীতি আর রঙের দাপটে তিনি যে ৫৭ ধারায় মামলাটি করলেন, লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এ কাজটি করতে গিয়ে তিনিও বেশ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট আইনের লঙ্ঘন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একজন শিক্ষক ক্লোজ গ্রুপের আলোচনা কারও মতামতের তোয়াক্কা না করেই প্রিন্ট করে ফেললেন, বিতর্কিত ৫৭ ধারায় মামলাও করলেন আবার সেই মামলার পক্ষে সাফাইও গাইলেন— সত্যিই কী বিচিত্র এই শিক্ষক!
তিন
আগেই বলেছি তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা একটি দমনমূলক আইন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারও কণ্ঠস্বর রোধ করাটাই হলো এই আইনের মূল লক্ষ্য। এই আইন ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষেত্রে নিপীড়কের হাতে তুলে দেয়া একটি মোক্ষম অস্ত্র। কোনো বিচারেই এই আইনের কোনো সাংবিধানিক বৈধতা থাকতে পারে না। এই আইন বাতিলের দাবি অনেকদিনের।
আজকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে চাতুর্যের আশ্রয় নিয়েছে ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশকে পাশ কাটিয়ে, তা ভবিষ্যতে আরও দমনমূলক ঘটনার জন্ম দিবে। অধ্যাপক ফাহমিদুল হকের মতোন সৎ চিন্তার মানুষের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারার মামলা দায়েরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ন্যাক্কারজনক ভূমিকাও ভবিষ্যতের জন্য নথিভুক্ত রইলো। পরিশেষে, ‘সম্মান’ প্রদর্শনপূর্বক অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদের প্রতি নিবেদন— রাজনৈতিক ক্রীড়ানক হবার চেয়ে শিক্ষক হওয়াটা এখনও সম্মানের, এখনও গৌরবের।
তথ্যসূত্র
১. বাংলা ট্রিবিউন, জুলাই ১৪, ২০১৭।
২. পূর্বোক্ত।
৩. The Calendar (Part I), The Dhaka University Order, 1973 With Subsequent Amendments, Page: 06।
৪. প্রথম আলো, ১৩ জুলাই ২০১৭, ২০:৪৩।