ফেব্রুয়ারি মাসে মহান ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সরকারি পর্যায়ে যে সকল আয়োজন হয় তা যদি ফেব্রুয়ারি মাসের পরিধি পেরিয়ে সারা বছর, আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও ঘটতো তাহলে হয়তো এরকম একটি চিঠি লেখার দুর্ভাগ্য আমার হতো না। সরকারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কখনোই বাংলা একাডেমির প্রমিত বানান ব্যবহার করা হয় না। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হলেও কর্তৃপক্ষের কুম্ভকর্ণের ঘুম আর ভাঙেনা। সম্প্রতি বুড়িগঙ্গা সেতু পারাপারে শুল্ক আদায়ের একটি রশিদ আমার হাতে আসে। এ রশিদে বাংলা বানানের প্রতি ঢাকা সড়ক বিভাগের অবজ্ঞার পাশাপাশি দায়িত্বহীনতার প্রমাণ রয়েছে। উক্ত রশিদে লিখিত ‘নির্বাহী’ বানানটি হবে ‘নির্বাহি’, ‘প্রকৌশলী’ বানানের শুদ্ধরূপ ‘প্রকৌশলি’ এবং ‘খালী’ বানানের স্থলে হবে ‘খালি’ (সূত্র: বাংলা একাডেমী বাংলা বানান-অভিধান-পরিবর্ধিত ও সংশোধিত সংস্করণ: মাঘ ১৪০৭/ ফেব্রুয়ারি ২০০১)। তাছাড়া উক্ত রশিদের কোথাও টোল আদায়ের তারিখ, আদায়কারীর স্বাক্ষর কিংবা যানবাহন নম্বর নেই যদিও এগুলোর জন্য নির্ধারিত স্থান রয়েছে। এ বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কর্তব্যের প্রতি চরম অবহেলার-ই নামান্তর।
তাই আমি সরকারি বিভিন্ন বিভাগকে অনুরোধ করছি কেবল জাতীয় অনুষ্ঠান পালনেই (এ সকল অনুষ্ঠান পালনেও তাদের ব্যবহৃত বানানে ভুল চোখে পড়ে) সীমাবদ্ধ না থেকে জাতির প্রতি, ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সচেতন এবং দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন হোন।