“পুলিশ জনগণের বন্ধু”- কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন পত্রিকায় এবং টিভি চ্যানেলে বিরোধীদলের কর্মসূচীতে পুলিশের আক্রমণাত্মক ব্যবহার দেখে মনে হয়, পুলিশ যেনো চারদলীয় জোট সরকারের বন্ধু। বর্তমান সরকারের শাসনামলে যে কয়টি ন্যাক্কারজনক আর গণতন্ত্রবিরোধী ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে বিভিন্ন আন্দোলনে, বিভিন্ন সময়ে, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনগণের ওপর পুলিশের অকথ্য নির্যাতন আর অমানবিক লাঠিচার্জ একদিকে যেমন চারদলীয় জোট সরকারের দমননীতির নগ্ন বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে, অন্যদিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে পুলিশ প্রশাসনকে। আন্দোলন করা একটি দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার। সরকারের সাজানো নির্বাচন কমিশন আর ভবিষ্যত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন স্বাভাবিক। যে নির্বাচন কমিশন একটি নির্ভরযোগ্য ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি, বরং ভোটার তালিকার নামে লোপাট করেছে জনগণের অর্থ- তার প্রতি কোনো সচেতন নাগরিকের পক্ষে আস্থা স্থাপন সম্ভব নয়। আন্দোলন তাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই আন্দোলনে পুলিশের উন্মত্ত, মারমুখী ভূমিকা দেখে মনে হয়- এ যেনো মধ্যযুগের বর্বরতা। বিরোধীদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার-ই প্রমাণ। কেবল আন্দোলনকারীরাই নয়, সেদিনের পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকসহ নগরীর সাধারণ মানুষ। নারী কর্মীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ দেখে মনে হচ্ছিল, এ যেনো হিটলারের নাৎসী বাহিনীর পুনর্জন্ম।
এছাড়াও, পুলিশের হীনমন্যতা আর অমানবিকতার পরিচয় নাগরিক জীবনের দৈনন্দিন নানা ঘটনা থেকেও পাওয়া যায়। দুর্নীতিতে বাঙলাদেশ পুলিশ প্রশাসনের জুড়ি মেলা ভার। এ দুর্নীতি, অমানবিকতা আর ক্ষমতার অপব্যবহারের র্দুবৃত্তে আবদ্ধ পুলিশ প্রশাসন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কি নেতিবাচক এবং বিতর্কিত প্রভাব ফেলবে না?