মনীষী সক্রেটিস শিক্ষার সংজ্ঞায় বলেছিলেন,
ভেতরের সম্ভাবনাকে বাইরে নিয়ে আসার মাধ্যমে মিথ্যার অপনোদন এবং সত্যের বিকাশ।
অর্থাৎ সামগ্রিক অর্থেই শিক্ষা হলো পদ্ধতিগত জ্ঞানলাভের একটি প্রক্রিয়া, যা বিকশিত ব্যক্তিত্ব এবং মানবিক বোধের পরিপূর্ণ প্রকাশ অব্যাহত রাখে। যে কোনো জাতি গঠনে শিক্ষা, বিশেষত উচ্চশিক্ষা, এক অপরিহার্য উপাদান। তবে এ উচ্চশিক্ষার প্রকৃতি ও উপযোগিতাই নির্ধারণ করবে একটি জাতি গঠনে তা কী এবং কীভাবে ভূমিকা পালন করতে পারে। ব্যাপক অর্থে উচ্চশিক্ষা বলতে এমন এক বিশেষ ধরনের শিক্ষাকে বোঝায় যা যর্থাথই মানুষের হৃদয় ও মননকে বিকশিত করে, আমাদের জীবনের “বৃহত্তর উদ্দেশ্য”কে সফল করে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে উচ্চশিক্ষাকে এ বিশেষ দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা না করে বোধের একটি সংকীর্ণ স্থান থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়, যা প্রকান্তরে উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে যেমন ব্যাহত করে, তেমনি বাধাগ্রস্ত করে এ দেশগুলোর সার্বিক অগ্রযাত্রাকে। বর্তমান বিশ্বে পুঁজিবাদের নগ্ন উত্থানে তাই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাতেও এসেছে বাজারনীতি, অন্যদিকে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বৃহত্তর উদ্দেশ্যও আবর্তিত হয়েছে অর্থ ও বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে। তাই শিক্ষায় যখন জ্ঞান, কৃষ্টি আর মুক্তমনের বিকাশের চেয়ে অর্থ আর আর্থিক উচ্চাভিলাষই মুখ্য হয়ে ওঠে-তখনই শিক্ষায় বাণিজ্যিকীকরণের বিষয়টির অবতারণা হয়।
শিক্ষায় বাণিজ্যিকীকরণ বাংলাদেশের সামগ্রিক ভবিষ্যতের জন্য এক নীরব ঘাতক হলেও বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে এ বিষয়ে অবহেলা সত্যিই পীড়াদায়ক। এ অর্থভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার পেছনে বেশ কয়েকটি বিষয় প্রভাবক হিসেবে সক্রিয় থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সঠিক কর্মস্থলের অভাব। অনেকের কাছেই এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা বিভিন্ন বিষয়ের গবেষকগণের চেয়ে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চকচকে অফিসারদের মোটা অঙ্কের বেতন আর গাড়িই বেশি আকর্ষণীয়। অন্যদিকে শিক্ষাজীবনের শুরুতেই তারা ভাবতে থাকে কর্মস্থলের কথা। অর্থাৎ উচ্চশিক্ষা তখন তার সকল প্রকার লক্ষ্য হারিয়ে একমাত্র উচ্চ বেতনের চাকুরির “লাইসেন্স” প্রদান করে থাকে। ফলে স্বভাবতই গবেষণাভিত্তিক বিষয়গুলো; যেমন: তত্ত্বীয় পদার্থবিদ্যা, শুদ্ধ গণিত, পরিসংখ্যান, দর্শন, সাহিত্য, নৃ-বিজ্ঞান, পুরাতত্ত্ব বা সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহে ভাটা পড়ছে। ফলে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। কেননা একজন পদার্থবিজ্ঞানী কিংবা গণিতবিদ হওয়ায় চেয়ে একজন বিবিএ বা এমবিএ ডিগ্রীধারী উচ্চ বেতনের চাকুরের জীবন অনেক বেশি স্বাচ্ছ্যন্দের এবং নিরাপদ। বিষয়টি ভাবলে মনে হয়, বাংলাদেশে চাকুরির বাজারের সূচকের প্রকৃতি যেনো শিক্ষার সূচকের সঙ্গে আবদ্ধ। বিষয়টি যে কতো ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে, তা গত ২০০৬ সালে “ব্যানবেইস” এর একটি পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে উঠে আসে। তাদের পরিসংখ্যান মতে, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে নিবন্ধিত বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে প্রতিবছর হ্রাস পাচ্ছে। কেবল মাধ্যমিক শ্রেণিতেই গত ১৫ বছরে ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী কমে গেছে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে চিত্রটি আরো হতাশাব্যঞ্জক। অথচ সমগ্র পৃথিবীতেই এখন বিজ্ঞানের জয়গান। অন্যদিকে যারা বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ছেন, তারাও মূলত প্রায়োগিক বা প্রকৌশল বিজ্ঞানের দিকেই ধাবিত হন। ফলে তত্ত্বীয় বিজ্ঞানের লেখচিত্রটাকে খানিকটা নিম্নমুখী মনে হয়। অথচ এ কথা ধ্রুব সত্য যে, প্রায়োগিক বিজ্ঞান ঠিক ততোটুকু পথই চলতে পারে যতোটুকু তত্বীয় বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত। তবে এ দায়ভার কেবল একতরফা শিক্ষার্থীদের দেয়া যায় না। বিষয়টি বোঝার জন্য একটি পরিসংখ্যান উল্লেখ জরুরি।
সাল | মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থীর তুলনায় বিজ্ঞান বিভাগে নিবন্ধিত পরীক্ষার্থীর হার |
---|---|
১৯৯০ | ৪২.৮১ |
১৯৯৫ | ২৫.৫০ |
২০০১ | ৩৪ |
২০০৮ | ২৩.৮৬ |
সাল | উচ্চ মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থীর তুলনায় বিজ্ঞান বিভাগে নিবন্ধিত পরীক্ষার্থীর হার |
---|---|
১৯৯০ | ২৮.১৩ |
১৯৯৬ | ১৫.৩৩ |
২০০২ | ২৫.৮৪ |
২০০৮ | ১৯.৪১ |
সূত্র: বেনবেইস
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভের ৩৬ বছরে বাংলাদেশ একটি রাষ্ট্র হয়ে ওঠেছে ঠিকই, কিন্তু এখনো আন্তর্জাতিক মানের কোনো গবেষণার তো দূরের কথা, একটি গবেষণা পত্রিকাও আমরা প্রকাশ করতে পারিনি। এছাড়া গবেষণাখাতে সরকার যে বরাদ্দ করে থাকে তাতে অনেক সময় গবেষণার যন্ত্রপাতি কেনাও সম্ভব হয় না। এটাও সত্য যে, আমাদের দেশে ফলিতবিজ্ঞান বিষয়েও কোনো উন্নত গবেষণার নেই, তবে মোবাইল ও অন্যান্য কোম্পানীগুলোর ব্যাপক চাহিদার কারণে এ বিষয়গুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। এখানে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো পরীক্ষার ফলাফল । সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যে অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, তাতে এ বিষয়গুলোতে বৈষম্য আরো প্রকট হবে। এ ফলাফল পদ্ধতিটি ভালো, তবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সামাঞ্জ্যপূর্ণ নয়। যদি প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরীক্ষা পদ্ধতি, ক্লাশ নেবার পদ্ধতিগুলো পরিবর্তন না হয়, তবে বিজ্ঞান ও কলা অনুষদের বিভিন্ন বিভাগে ফলাফল বিপর্যয় ঘটবে। এতে নতুনেরা আরো পিছপা হবে।
শিক্ষালাভের অধিকার সংবিধান স্বীকৃত হলেও, বর্তমানে এ দুর্মূল্যের বাজারে শিক্ষাও হয়ে উঠেছে পণ্য। কয়েকটি স্বায়ত্বশাসিত এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা অনুমোদনহীন অসংখ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে শিক্ষাদান করা হয়, তাতে মনে হয় উচ্চশিক্ষা একটি অন্যতম বাণিজ্যিক খাত। এ সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী পড়ানো হয় না।
কেবল অর্থকরী যে বিষয়গুলোতে পড়ার একটা ঝোঁক শিক্ষার্থীদের মাঝে লক্ষ্যনীয় তাই পড়ানো হয়। বিষয়টি অনেকটা অর্থনীতির একটি মৌলিক বিষয়, ‘চাহিদা বিধি’র সঙ্গে তুলনা করা চলে। তাছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষাদানের পদ্ধতি সম্পর্কে অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। আবার অনেকগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়েও ভালো, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি হয়। এতো অর্থ ব্যয়ের পরও শিক্ষার্থীরা তাদের যথাযথ মানের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন না। এর কারণ সম্ভবত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তারা নিজেদের বিনিয়োগকৃত মূলধনের লাভ খুব তাড়াতাড়ি তুলে আনতে ইচ্ছুক। বেসরকারি খাতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য সবচেয়ে বেশি খরচ করতে হয় মেডিকেল কলেজে। কিন্তু সেখানেও শিক্ষার মান এক অর্থে আশঙ্কাজনক।
এছাড়া শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের সবচাইতে প্রকাশ্যে হাতিয়ার হলো কোচিং সেন্টার নামক উদ্ভট প্রতিষ্ঠানের। কোচিং সেন্টারগুলো এমনভাবে আমাদের শিক্ষার্থীদের মেধা ও সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, যা অনাগত ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষত হয়ে ওঠবে। এসব কোচিং সেন্টারগুলোতে চলে টাকার খেলা। এদের পরোক্ষ বাণিজ্যের শিকার ভর্তি পরীক্ষা। ইতোমধ্যে দেশের মেডিকেল কলেজগুলোর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুয়া ভর্তির সঙ্গে এদের যোগসূত্র প্রমাণিত হয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকার কাছে পরাজিত হয়ে যাচ্ছে মেধার চির উন্নত শির। বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে, কিন্তু কোচিং সেন্টার নামক সমাজের এ ব্যাধির বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। কোচিং সেন্টারগুলো এবং তাদের দুর্নীতিবাজ মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থের দৌরাত্ম্য যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি জনগণের সর্বস্তরের নিকট শিক্ষাকে পৌঁছে দেবার পথ বাধাগ্রস্ত হবে। এছাড়াও বাজারে বর্তমান সময়ে ‘ক্যারিয়ার গাইড’ নামক কিছু বই পাওয়া যায়। এদের মূলকাজ হলো মূলধারার বিষয় যেমন পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, রসায়ন, সাহিত্য, দর্শন ইত্যাদিকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং বিভিন্ন অর্থকরী বিষয়কে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে আকর্ষণীয় করে তুলে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করা। বর্তমানে এসব বিষয় নিয়ে আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে, নতুবা একদিন হয়তো আবিষ্কার করবো আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণই ধনিক শ্রেণির হাতে বন্দি হয়ে গেছে।
এখনকার পুঁজিবাদী বিশ্বে শিক্ষা হয়ে ওঠেছে পুঁজিবাদী শ্রেণির অন্যতম হাতিয়ার। বাংলাদেশে শিক্ষার ক্ষেত্রে বাজারনীতি যেভাবে প্রাধান্য পাচ্ছে তাতে একদিকে যেমন মৌলিক অধিকার শিক্ষাও সমাজে কার্যত বৈষম্য সৃষ্টির রূপরেখা হিসেবে থাকছে, অন্যদিকে শিক্ষাকে কেন্দ্র করে যে বাজার গড়ে উঠেছে তাতে অনিবার্যভাবেই অবাঞ্চিত হয়ে যাচ্ছে সমাজের প্রলিতারিয়েত শ্রেণি। বিশ্বায়নের নামে যেভাবে শিক্ষায় বাণিজ্যকে প্রবেশ করানো হয়েছে, তাতে শুদ্ধ ও গবেষণাভিত্তিক জ্ঞান চাপা পড়ে যাচ্ছে। শুদ্ধ জ্ঞানের প্রসার না ঘটায় অর্থকারী বিষয়গুলোও পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। ফলে আদতে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে সৃষ্ট শ্রেণি বৈষম্য স্পষ্টতই আমাদের সার্বিক সামাজিকীকরণের প্রধান অন্তরায়। ফলে যে উচ্চশিক্ষা একদিন বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বপ্ন ও সাধের মণিকাঞ্চন সাধন করতো, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণে আজ তা হয়ে ওঠেছে মধ্যবিত্ত শ্রেণির ট্র্যাজিডি। এভাবে চলতে থাকলে একদিন হয়তো বাঙ্গালি মধ্যবিত্ত শ্রেণি উচ্চশিক্ষাকে কেন্দ্র করে স্বপ্ন দেখতে ভুলেই যাবে। রবীন্দ্রনাথ শিক্ষা সম্পর্কে বলেছিলেন,
তথ্য পরিবেশন এবং বিশ্বসত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জীবন গঠনই হলো শিক্ষা।
আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে দেখা যায়, এখানে তথ্যের অবাধ পরিবেশন থাকলেও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জীবন গঠনের কোনো প্রক্রিয়া নেই।
ব্রাজিলিয় শিক্ষাবিদ পাওলো ফ্রেইরির শিক্ষাদর্শন এর একটি বিশেষ উপাদান ছিলো বিমুক্ত শিক্ষা, যা মানুষকে মুক্ত ও স্বাধীন করে। আমাদের দেশে যে বাণিজ্যভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছে এবং ক্রমেই বিস্তার লাভ করছে তা মূলত আমাদের জ্ঞানভিত্তিক ও চিন্তাভিত্তিক, মনন ও দর্শনভিত্তিক সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসেরই নামান্তর। যতোদিন শুদ্ধ বিজ্ঞান, দর্শন আর সাহিত্যিক জ্ঞানের মাধ্যমে আমাদের চেতনাকে সুগঠিত না করে প্রায়োগিক ও অর্থকারী বিষয়গুলোকে প্রসারিত করা হবে, ততোদিন পর্যন্ত বাঙালি জাতি আত্মনির্ভরশীল ও বিশ্লেষক হয়ে উঠবে না। কেবল বাণিজ্য, অর্থ আর উচ্চাভিলাষকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা নয় জ্ঞান-চিন্তা আর মেধাভিত্তিক সৃজনশীলতার বার্তাবাহক শিক্ষাব্যবস্থাই পারে আমাদের মনোজাগতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে। তাহলেই বাঙালি জাতি একদিন সক্রিয় স্বাধীন জাতিতে পরিণত হবে।