একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ- এ যেনো এক মহীরূহ। নানা বর্ধিষ্ণু সীমা-পরিসীমা তার। ইতিহাসের অলি-গলি ঘুরে যখনই কেউ এসে পড়বেন এই অনন্য অধ্যায়ে- বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে তখনই তার অবস্থা দাঁড়াবে ‘প্রাণের আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি’র মতো, ফলে ‘অকারণ পুলকে’ তিনি খুঁজে ফিরবেন ‘স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি’। উনিশশো একাত্তর এমনই এক ইতিহাস, ‘পুরাতনী তুমি নিত্য নবীনা’ বাঙালির আত্মজ অহঙ্কারের সাথে এ ইতিহাস জড়িয়ে আছে প্রাণবন্ত মহৎ সৃষ্টির মতো। তাই যতোবার বাঙালি পথ হারাবে, ততোবার সে ফিরে আসবে উনিশশো একাত্তরের কাছে, ক্র্যাক-ডাউনের অন্ধকার টানেল ধরে এগিয়ে যাবে সাতই মার্চের মহালোকে, দোসরা মার্চের উড্ডিন পতাকার চোখে চোখ রেখে খুঁজে পাবে তার জাতিসত্তার ইতিহাস।
তাই একাত্তরের ইতিহাস নিয়ে লিখতে গেলে ভাবতে হয়। এই বক্তব্য অমি রহমান পিয়াল, নুরুজ্জামান মানিক, এম এম আর জালাল কিংবা আদিল মাহমুদের ক্ষেত্রে সত্য। কিন্তু আমরা অতো ভাবি না, খুঁড়িয়ে চলা লেখকদের অতো ভেবে কাজ কি- আমরা কেবল তক্কে তক্কে থাকি- ‘সহজ একখানা বিষয় যদি খুঁজিয়া লইতে পারিতাম!’ তারপরে লোকে যখন বলে- এতো পুরোনো বিষয়, তখন আমরা বলি- ‘সহজ কথা যায় না বলা সহজে’।
সে রকমই এক সহজ বিষয় নিয়ে আজকের এ লেখাটি। মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ডাকটিকেট। ডাকটিকেট নিয়ে কথা উঠলেই স্যার রোলেন্ড হিলের কথা মনে পড়ে। তিনিই ১৮৪০ সালে বিশ্বের প্রথম ডাকটিকেট প্রচলন প্রস্তাব করেন। এটা লন্ডনের ঘটনা। তাঁর প্রস্তাব এবং ডিজাইন মতেই বিশ্বের প্রথম ডাকটিকেট প্রচলন শুরু হয়। সেজন্যই তাঁকে ডাকটিকেটের জনক বলা হয়।
ডাকটিকেট একটি দেশ বা জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি প্রকাশের অতি উত্তম ও সহজ মাধ্যম। বাঙলাদেশ ডাক বিভাগ সে-ই লক্ষ্যেই কাজ করতো, একেবারে শুরু থেকেই। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তাঞ্চল থেকে ডাকটিকেট প্রকাশ করে ডাক বিভাগ মুক্তিযুদ্ধে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত আটটি ডাকটিকেটের মধ্যে ১০ পয়সা, ৫ টাকা এবং ১০ টাকা- এই তিনটি মূল্যমানের কিছু সংক্যক ডাকটিকেট প্রকাশিত হয়। এসব ডাকটিকেটে ‘বাংলাদেশ মুক্ত’ শব্দ দুটি ওভার প্রিন্ট করে বিক্রির জন্যে অনুমোদিত হয়। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে গৃহীত বলে কিছু ত্রুটি ছিলোই। যেমন স্থানীয়ভাবে তৈরি এসব রাবার স্ট্যাম্পগুলো বিভিন্ন ধরণের হয়ে যায়। ‘বাংলাদেশ’ কেউ শুধু বাঙলায় লেখেন, আবার কেউ বা ইংরেজীতে। রাবার স্ট্যাম্পগুলোর আকারও হয় বিভিন্ন মাপের। এই উদ্যোগটি গৃহীত হয় ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই। এর মধ্য দিয়েই বিশ্বব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছড়িয়ে দেবার প্রয়াস নেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী কর্তৃক প্রকাশিত মুক্তাঞ্চলে স্বাধীন ডাকব্যবস্থা চালু করা ডাকটিকেটের ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। এরকম উদ্যোগ বিশ্বের অন্য কোথাও হয়নি। এই আটটি ডাকটিকেট বাঙলাদেশের প্রথম ডাকটিকেট।
ব্রিটিশ ডাকযোগাযোগ দপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৎকালীন শ্রমদলীয় পার্লামেন্ট সদস্য মিস্টার জন স্টোনহাউস এবং ব্রিটিশ ডাক ব্যবস্থার পোস্টমাস্টার জেনারেল মিস্টার ব্রুস ডগলাসম্যান ১৯৭১ সালের এপ্রিলের শেষের দিকে বাঙলাদেশের শরণার্থীদের অবস্থা সচক্ষে দেখার জন্যে ভারতের কোলকাতায় আসেন। সে সময় মিস্টার স্টোনহাউস মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেন, মুক্তাঞ্চলে ব্যবহার করার জন্যে বাঙলাদেশের ডাকটিকেট প্রচলন করা হলে মুক্তাঞ্চল থেকে পাঠানো চিঠিপত্রের মাধ্যমে স্বাধীন বাঙলাদেশের অস্তিত্ব বাস্তব সত্য হিসেবে বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনাকালে প্রবাসী সরকারের অর্থমন্ত্রী এম. মনসুর আলীও উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ মিস্টার স্টোনহাউসকে স্বাধীন বাঙলাদেশের ডাকটিকেট প্রকাশের যথারীতি সিলমোহর সম্বলিত অনুমতিপত্র দেন এবং তাঁকেই উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন।
মিস্টার জন স্টোনহাউস লন্ডনে ফিরে ২৯ এপ্রিল টেলিফোনে বিমান মল্লিকের সাথে যোগাযোগ করে বাঙলাদেশের ডাকটিকেটের নকশা করার অনুরোধ জানান। বিমান মল্লিক পশ্চিমবঙ্গের একজন বাঙালি গ্রাফিক্স শিল্পী। তিনি তখন লন্ডনের কেন্টের ফোক স্টোন স্কুল অব আর্ট এবং এসেক্সের হারলো টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যাপনায় নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়া মিস্টার স্টোনহাউস যখন ব্রিটেনের ডাক ও যোগাযোগমন্ত্রী, তখন বিমান মল্লিক ব্রিটিশ পোস্ট অফিসের জন্য গান্ধী স্মারক ডাকটিকেটের নকশা তৈরি করে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তিনি ভাবলেন স্টোনহাউসের প্রস্তাব গ্রহণ করলে স্বাধীনতা সংগ্রামে সাধ্যমতো সহযোগিতার সুযোগ পাবেন। তাছাড়া সারা পৃথিবীর মানুষের মতো তিনিও জানতেন বাঙলাদেশের আপামর জনসাধারণের উপর পাকিস্তানি বর্বর সেনাবাহিনী কী অমানুষিক ও দুর্বিষহ নির্যাতন করেছিলো।
বিমান মল্লিকের পুরো নাম বিমান চাঁদ মল্লিক। ১৯৩৩ সালের কোলকাতার হাওড়ায় তাঁর জন্ম। বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম চলাকালীন সে-ই সময়ে তিনি এ ডাকটিকেটের নকশার দায়িত্ব নেন। অল্প সময়ের মধ্যেই গবেষণার কাজ শেষ করেন। মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যেই তিনি ডাকটিকেটের নকশা তৈরি করেন। সময়াভাবে বাঙলাদেশের ডাকটিকেটের একাধিক নকশা তৈরি করতে সুনির্দিষ্ট কোনো দিক নির্দেশনা তাঁকে দেয়া হয়নি। তবে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ও স্টোনহাউসের সাথে সর্বাত্মক যোগাযোগ ও পরামর্শ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন ডাকটিকেটের নকশা চূড়ান্ত করেন। বিমান মল্লিক এই ডাকটিকেটের নকশার জন্য কোনো পারিশ্রমিক গ্রহণ করেননি, এমনকি শিল্পীর প্রাপ্য রয়্যালিটি সম্পর্কে কোনো চুক্তিপত্রেও স্বাক্ষর করেননি।
ব্রিটেনের একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ওয়ার অন ওয়ান্ট- এর চেয়ারম্যান মিস্টার ডোনাল্ড চেসওয়ার্থ এই ডাকটিকেটের নকশা নিয়ে কোলকাতা আসেন এবং বাঙলাদেশের বিপ্লবী সরকারের অনুমোদন নিয়ে লন্ডনে ফিরে যান। জন স্টোনহাউস বাঙলাদেশের ডাকটিকেটগুলো লন্ডনের ফরম্যান্ট ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস লিমিটেডকে দায়িত্ব প্রদান করে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ছাপানোর ব্যবস্থা করেন।
২৭ জুলাই লন্ডনের দ্য টাইমস, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় এসব সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই ডাকটিকেট প্রকাশনা অনুষ্ঠানে লন্ডনের পার্লামেন্টের সকল দলের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে পিটার শোর, জন স্টোনহাউস এবং আরও কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্য বাঙলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থন জানিয়ে বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে শিল্পী বিমান মল্লিক ডাকটিকেটগুলোর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। এই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী বাঙলাদেশ সরকারের পক্ষে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান।
এই আটটি ডাকটিকেট বিভিন্ন রঙের ছিলো, যাদের সাইজ ছিলো ৩৯ X ২৫.৫ মিলিমিটার। ডাকটিকেগুলোতে যেসব ছবি স্থান পায় তার মধ্যে ছিলো বাঙলাদেশের মানচিত্র, স্বাধীন বাঙলাদেশের পতাকা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, ব্যালট বাক্স, শিকল ভাঙার ছবি- ইত্যাদি।
১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই লন্ডনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ডাকটিকেটগুলোর প্রকাশনা উৎসব হলেও, ২৯ জুলাই বাঙলাদেশের মুক্তাঞ্চল, ভারত, যুক্তরাজ্য, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে একযোগে এগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একটি কক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই নূতন ডাকটিকেট ও ফাস্ট ডে কভার বিক্রি শুরু হয়। যুক্তরাজ্য প্রবাসী অনেক বাঙালি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাঙলাদেশের একজন ব্যবসায়ী দু’শ ত্রিশ পাউন্ড দিয়ে আটটি ডাকটিকেট সম্বলিত প্রথম সেট ও ফাস্ট ডে কভার ক্রয় করেন। দ্বিতীয় সেট ক্রয় করেন দুইশ’ বিশ পাউন্ড দিয়ে অন্য একজন বাঙালি। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, জন স্টোনহাউস ও বিমান মল্লিকের অটোগ্রাফ ছিলো এই ফাস্ট ডে কভারের ওপর। প্রথম দিনে ডাকটিকেট বিক্রয় করে প্রায় এক হাজার পাউন্ড সংগৃহীত হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে প্রকাশিত ডাকটিকেটগুলোর বিবরণ
বাঙলাদেশের মানচিত্র সম্বলিত গাঢ় লাল, নীল ও বেগুনী রঙের ডাকটিকেট প্রকাশিত হয়। এর মূল্য ছিলো ১০ পয়সা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পরিচালিত জেনোসাইডকে প্রেক্ষণে রেখে রক্তলাল ছাপের ওপর হলুদ লেখা ঢাকা ইউনিভার্সিটি গাঢ় সবুজ রঙের ডাকটিকেট। এর মূল্য ছিলো ২০ পয়সা।
‘সাড়ে সাত কোটি বাঙালি জাতি’ শীর্ষক হালকা বাদামী লেখা, ধূসর এবং গোলাপী রঙের ডাকটিকেট প্রকাশিত হয়। এর মূল্য ছিলো ৫০ পয়সা।
বাঙলাদেশের মানচিত্রসহ জাতীয় পতাকা সম্বলিত সবুজ রঙের উপর লাল সূর্যের মধ্যে সোনালি বাঙলাদেশের মানচিত্র আঁকা আরেকটি ডাকটিকেট প্রকাশিত হয়। এর মূল্য ছিলো ১ টাকা।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙলাদেশের পক্ষে শতকরা ৯৮ ভাগ ভোট প্রদানের ঘটনাকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে ব্যালট বাক্সের প্রতীকের মধ্যে সাদা এবং মেজেন্টা রঙের ডাকটিকেট প্রকাশিত হয়। এর মূল্য ছিলো ২ টাকা।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলকে মনে রেখেই করা হয় স্বাধীনতার ঘোষণাসহ শিকল ভাঙার চিত্র। গাঢ় সবুজ ও নীল রঙের একটি ডাকটিকেট প্রকাশিত হয়। এর মূল্য ছিলো ৩ টাকা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত সোনালি-সদৃশ, কমলা, গাঢ় বাদামী ও হাফটোন কালো রঙের ডাকটিকেট। এর মূল্য ছিলো ৫ টাকা।
‘বাংলাদেশকে সমর্থন করুন’ শীর্ষক মেজেন্টা রঙের মধ্যে বাঙলাদেশের মানচিত্র সোনালি রঙের টিকেটে নীল রঙের লেখা। এর মূল্য ছিলো ১০ টাকা।
প্রতিটি ডাকটিকেটেই ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি বাঙলা এবং ইংরেজী দুটি পৃথক শব্দ হিসেবে লেখা হয়েছিলো। বাঙলাদেশের সরকার কর্তৃক ১৯৭১ সালে মৃক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তাঞ্চল থেকে এই ডাকটিকেটগুলো আত্মপ্রকাশ করে। বিভিন্ন দেশের পত্রপত্রিকায় ছবিসহ এই ডাকটিকেট সম্বন্ধে অনেক লেখালেখি হয়েছে। এই ডাকটিকেট প্রকাশিত হলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, সংবাদপত্র এবং ফিলাটেলিস্টদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ইন্টারন্যাশনাল পোস্টাল ইউনিয়নের সদর দপ্তরে পেশ করা এক অভিযোগে পাকিস্তান সরকার এই ডাকটিকেটগুলো বেআইনি ঘোষণা করার প্রস্তাব করে। কিন্তু অভিযোগ উপেক্ষা করে বিশ্বের বহু দেশে ডাকটিকেটের ব্যবহার চালু হয়। মুক্তাঞ্চল থেকে পাঠানো বহু চিঠিপত্রে এই ডাকটিকেটগুলো ব্যবহার করা হয়েছিলো।
একাত্তরের মুক্তিসংগ্রামের এই দিকটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক। কারণ এই ডাকটিকেটগুলোর মাধ্যমেই স্বাধীন বাঙলার কথা, মুক্তিবাহিনীর কথা সারা পৃথিবীর মানুষকে জানানো হয়। এতে মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে এক ধরনের বিশ্বজনমত তৈরি হয়- যা পুরো নয়মাস এমনকি স্বাধীনতা উত্তর বাঙলাদেশেও স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে বেশ শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে। আজ স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পরও যখন এই ডাকটিকেট নিয়ে আলোচনায় বসতে হয় তখন দেখা যায় স্বাধীন বাঙলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ডাকটিকেট অনেক হয়েছে, এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তিযুদ্ধকে প্রেক্ষণবিন্দুতে রেখে ডাকটিকেট প্রকাশ করা হয়েছে। এ আমাদের গর্ব, আমাদের অহঙ্কার।