সত্যজিতের মেঘদূতেরা

এই মুহূর্তে সত্যজিৎ রায়ের জনঅরণ্য (১৯৭৫) ছবিটির নায়ক সোমনাথের কথাই মনে পড়ছে। সোমনাথ ইতিহাসের ছাত্র ছিলেন এবং এটাই সম্ভবত ইতিহাসের অনন্য কৌতুক যে, সত্তর দশকে কোলকাতা শহরের প্রখ্যাত লোডশেডিং তার ডিগ্রিটিকে অবান্তর করে দিয়েছিল। দৃশ্যের এইটুকু ভাষ্য— আমার মতে— সত্যজিৎ রায়ের পক্ষে চূড়ান্ত রাজনৈতিক বক্তব্য। কিংবা মনটাকে সত্যজিতের সৃষ্টির সঙ্গে আরেকটু টেনে যদি ষাটের দশকে…

হৃদয় ও রাজনীতির কোলাজ

মাত্র আটটি চলচ্চিত্র- এরপর তিনি মহাপ্রস্থানের পথে এগিয়েছেন। মাত্র আটবার কড়া নাড়ায় মহাকাল তাঁকে দরজা খুলে দেয়; এরপর তিনি প্রবেশ করেন অনন্ত শূন্যলোকে- অর্থহীন সময়কে করে তোলেন অর্থপূর্ণ শুভ্র অথবা কালোত্তীর্ণ জীবনের এপিটাফ। এরকম আশ্চর্য ব্যতিক্রম অবশ্য ঋত্বিক ঘটক ছাড়াও এসেছিলো আন্দ্রেই তারকোভস্কির সময়ে- তাঁর সমাপ্ত চলচ্চিত্রের সংখ্যা সাত। আজ মাঝে মাঝে মনে হয় এঁরা…

আমার ভাষার চলচ্চিত্র

বনে আছে দ্বন্দ্বের বিন্যাস, নাগরিকতার সঙ্গে লৌকিক জীবনের। কোনো মানুষই ঠিক সে-অর্থে অখণ্ড নয়, প্রত্যেকের মধ্যেই আছে অপূর্ণতা। এ অপূর্ণতাকে প্রেক্ষণবিন্দুতে রেখেই শিল্পসৃষ্টি আর সেই সৃষ্টিকে ধারণ করা। বৃহৎ অর্থে শিল্পের এ বিশাল আকাশ জুড়ে থাকা রঙধনুর সবচেয়ে উজ্জ্বল রঙটি হয়তো চিহ্নিত করা যাবে না, কিন্তু ভাবনার পরিসীমাটা যদি বাঙালি সমাজ আর বাঙালি মধ্যবিত্তের মানসপট…