সেই অবিনাশী উচ্চারণ

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ যদি একটি মহাকাব্য হয়, তবে তার প্রবেশদ্বার হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের সেই অবিনাশী উচ্চারণ। একটি মুখবন্ধ—যার মধ্যে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিটি স্তর-উপস্তর ব্যাখ্যা করা আছে; আছে নির্যাতিত হওয়ার খতিয়ান, নির্দেশনামা, করণীয় এবং অকরণীয়সমূহ। মাত্র ঊনিশ মিনিটের এই পারাবারপ্রতিম ভাষণে জাতির জনক আসলে রচনা করেছিলেন আমাদের স্বাধীনতার সংজ্ঞা, তাকে বিস্তৃত করেছিলেন ‘মুক্তি’র অভিধায়; এবং…

তিনি আমাদেরই বঙ্গবন্ধু

কিছুদিন আগে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন স্যারের সম্পাদিত ও সংকলিত একটি বই পড়ছিলাম। ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শিরোনামের দুই খণ্ডের এই বইটির বিষয়বস্তু যেমন গুরুত্বপূর্ণ ও নতুন গবেষণার জন্যে অনুপ্রেরণামূলক, তেমনি নানাবিধ চিন্তা ও বিশ্লেষণে ঋদ্ধ তার ভূমিকা অংশটুকু। ভূমিকার শুরুর দিকে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তৃতার কথা উল্লেখ করে মামুন স্যার লিখেছেন— ‘…একবার…

সাতই মার্চ: অজেয় অর্কেস্ট্রা

৭ মার্চ ১৯৭১– সম্ভবত ইতিহাসের একমাত্র দিন, যা সংজ্ঞায়িত হয়েছে একটি মাত্র ভাষণের দ্বারা এবং বাংলার মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণই হয়ে আছে ইতিহাসের প্রবেশদ্বার। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তৎকালীন উপমহাদেশে বিরাজমান দুটো শক্তিশালী রাজনৈতিক দর্শনের বাইরে এসে এক নবতর রূপ লাভ করেছিল এবং কী আশ্চর্য, তা সমান্তরালে হেঁটে এসে উন্নীত হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে। ব্রিটিশ…

পঁচিশে মার্চ ১৯৭১

দৃষ্টিজুড়ে আলো থাকলেই অন্ধকার ঘুচায় না। আঁধারেরও একটা রঙ আছে, তারও একটা সত্তা আছে। ওইটুকু বাদ দিলে যে নিকষ ভয়ঙ্কর রাত্রির পর্দা নামে, তাতে ভয় ধরে; ভয়ার্ত মনের মধ্যে বাসা বাধে শব্দেরা; শব্দগুলোর কান্না পায়, চিৎকার করে কাঁদে, কেবল কাঁদে আর কাঁদে; ইতিহাসের পনেরো খণ্ডে শব্দগুলো আমার বুলেট হয়ে যায়। আমি তোমাদের বিস্তীর্ণ ব্যস্ত জীবনে…