অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, ৫৭ ধারা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেছেন তাঁর সহকর্মী, একই বিভাগের অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ। বিভাগের প্রশাসনিক দ্বন্দ্বের জের ধরে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে—গণমাধ্যমসূত্রে এই তথ্য আমরা জানতে পেরেছি। এর সংযুক্তি আরেকটি তথ্য হচ্ছে, মামলাটি দায়ের করার মাত্র তিনদিন আগেই তথ্যপ্রযুক্তি আইনের এই নিপীড়নমূলক ধারাটি…

গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারা

অনেক দিন ধরেই আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এই আইন কেবল যে চিন্তার প্রকাশের পথে প্রতিবন্ধক নয়, এর অপপ্রয়োগ হচ্ছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়ে গেছে যে, আইসিটি আইনের এই ৫৭ ধারা যতটা না অন্যায়-অবিচার রোধে ব্যবহৃত হচ্ছে, তার চেয়েও বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যক্তিগত স্বার্থে। আইনের নিজস্ব রাস্তা আছে এবং তার ওপর ভিত্তি করেই আইন চলবে—এমন দাবি আইনজ্ঞরা সব-সময়ই করে থাকেন। কিন্তু…

সংবাদের মানুষেরাই যখন সংবাদ

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতনের একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদন তৈরি করলে নিঃসন্দেহে বিষয়টি হবে আঁৎকে উঠার মতো। স্বাধীন রাষ্ট্রে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর বিভিন্ন সময়ে যে ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছে, তার অধিকাংশেরই বিচার হয়নি। বিচারহীনতা অবশ্য সমাজের নানা অপরাধের ক্ষেত্রেই বাড়ছে। কোনো অপরাধ ‘অপরাধ’ বলে বিবেচিত হচ্ছে সেটা নিয়ে কতদিন আলোচনা থাকে তার…

উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ

জানি না, এখনও খবরটি জাতীয় গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে কি না। দেশে নানা বিতর্ক চলছে, এসবের ফাঁকে এই খবর চাপা পড়ে গেলেও আশ্চর্য হব না। তবে নাগরিক হিসেবে, একজন ব্লগার হিসেবে নিজের কাছে নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না। ঠিক যেমন পারিনি এর আগে, যখন মানবাধিকার লঙ্ঘন করে গ্রেফতার করা হয়েছিল চারজন ব্লগারকে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে…

অতএব, রক্ষকই অবশেষে ভক্ষক

ঠিক আভিধানিক অর্থকে মাথায় রেখে এখানে ‘রক্ষক’ কিংবা ‘ভক্ষক’ শব্দ দুটি ব্যবহার করা হয়নি। ব্যবহার করা হয়েছে আস্থার মাপকাঠি বিবেচনা করে। বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিশেবে আমি কতোটা আস্থা রাখতে পারি আমার রাষ্ট্র কিংবা রাজনৈতিক দলগুলোর উপর? এ প্রশ্নটি খুঁজতে গিয়েই লেখাটির সূত্রপাত। চারপাশে ঘটে যাওয়া অনেকগুলো বিষয়ই হতে পারতো এ লেখার প্রভাবক, কিন্তু গত…