আমরা সম্ভবত বিনির্মানবাদের জগতে বসবাস করি। অভিমতটি ব্যক্তিগত বলেই এ সম্বন্ধে আমার যুক্তি হলো— সভ্যতার এমন একটি বিন্দুতে আমরা অবস্থান করছি, যেখানে দাঁড়িয়ে আমাদের চিন্তার সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী কোনো ভবিষ্যত আমাদের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। এর মানে এই নয় যে— একেবারেই ভিন্ন একটি ভবিষ্যত আমরা দেখতে পাই না বা দেখা হবে না তবে আপাত দৃষ্টিতে আমরা পূর্ববর্তী ধারণা ও বিস্ময়ের নবায়ন করে চলছি প্রতিনিয়ত। বিজ্ঞান-দর্শন-সাহিত্য-আইন ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে আমাদের অতীত ধারণাই প্রতিনিয়ত ভাঙছে বা ভাঙার উপক্রম হচ্ছে কিন্তু সেটা অভিনব কোনো দিকে যাচ্ছে না বরং হয়ে উঠছে পূর্বের ধারণারই একটি নতুন ও অত্যাধুনিক সংস্করণ। ব্যাপারটি অনেকটা ওই সফটওয়্যার আপডেটের মতোন— প্লাটফর্মটি বদলাচ্ছে না কিন্তু নতুন নতুন আপডেট আসছে।
সুতরাং প্রতি মুহূর্তে একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল সভ্যতার মুখোমুখি হচ্ছি আমরা। একের পর এক পরিবর্তন ঘটছে আমরা তার সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছি বা নিতে ব্যর্থ হচ্ছি এবং পরমুহূর্তেই আরেকটি পরিবর্তন আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। এই দ্রুতগামী পরিবর্তনের রথে আমাদের বিশ্বাস, ধারণা, প্রথা এমনকি আমাদের শাস্ত্র পর্যন্ত অপাঙক্তেয় হয়ে যাচ্ছে। ক্রমেই ধ্বসে পড়ছে সেইসব প্রতিষ্ঠান— যেমন ধর্ম বা পরিবার— বিংশ শতাব্দীতে যেগুলোকে মনে করা হয়েছিলো অপ্রতিরোধ্য— প্রায় ধ্রুবকের মতোন। কিন্তু এই যাবতীয় ঘটনার সঙ্গে একটি বিষয়ের ওতোপ্রতো সম্বন্ধ আমরা কখনো এড়াতে পারি না— কার্যত এটা এড়ানো সম্ভবও নয়; আর সেটি হলো রাজনীতি। এই রাজনৈতিক ধারণারও বদল ঘটছে প্রতিনিয়ত কিন্তু সেটি বিযুক্ত হচ্ছে না। এখন দেখার বিষয় হলো— যে আলোচনাই আমরা করি না কেনো, সেটি কোন রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর দাঁড়িয়ে করছি— সেটি গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং যদি কোনো বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত হই— তাহলে ধরে নিতে হবে এই বক্তব্য দ্বান্দ্বিক (অর্থাৎ একমত না-ও হতে পারতাম)— এবং এই বক্তব্য যে রাজনীতিকে অনুসরণ করে, আমি সে রাজনীতির সঙ্গে একমত। গোড়াতেই এটুকু আলোচনা করে নিলাম যেনো ‘মৃত্যুদণ্ড’ বিষয়ে আমার বক্তব্যের আগাগোড়া পাঠক কাছে নিছক কতোগুলো বাক্য রচনা মনে না হয়।
আইন এবং আইনের দর্শন
খুব ভালো হতো, এই লেখাটি যদি একজন আইনশাস্ত্রের শিক্ষার্থী লিখতেন। আমি আইনশাস্ত্রের শিক্ষার্থী নই— সুতরাং আমার যা বিবেচনা, তা আইনের বিচারে কতটুকু টিকবে জানি না, তবে রাজনীতির বিবেচনায় এ বক্তব্য অত্যন্ত আলোচনার যোগ্য। আইন এবং আইনের দর্শন এক নয়— আর এ কারণেই আইন অন্ধ হতে পারলেও দর্শনের অন্ধ হবার সুযোগ নাই। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে যখন আইন প্রণয়ন করা হয়, তখন সেই রাষ্ট্র, রাষ্ট্রব্যবস্থা, রাষ্ট্রের প্রথা-প্রকৃতি-সংস্কৃতি ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে আইনটি প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু রোনাল্ড ডওরকিন (১৯৩১-২০১৩) যখন বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে বসে ল’স অ্যাম্পায়ার (১৯৮৬) লেখেন— তখন তিনি নির্দিষ্ট কোনো ভূগোল, সমাজবিজ্ঞানকে প্রাধান্য দেন না। সুতরাং আমাদের বিবেচনা এই যে— যে কোনো আইনের প্রয়োগ এবং দর্শনের ভেতরে ফারাক আছে। সরকারি গেজেট প্রকাশিত হলেই একটি আইন কার্যকর হয় কিন্তু একশ বছর পরও কেউ এই আইনের সমালোচনা করতে পারেন। এই সমালোচনার জায়গাটি তৈরি করে আইনের দর্শন। অর্থাৎ অপরাধের জন্য ‘মৃত্যুদণ্ড প্রদান’— এই বক্তব্যের পক্ষে-বিপক্ষে যা যুক্তি, তা আইনের দর্শন অনুসৃত। আর পৃথিবীর যে রাষ্ট্রগুলোতে মৃত্যুদণ্ড বলবৎ আছে বা যে রাষ্ট্রগুলোতে বলবৎ নেই— তার কাঠামো আলোচনা করতে হলে আমাদের রেফারেন্স ফ্রেম হবে ‘আইনের প্রয়োগ’। এ পর্যন্ত তিনটি বিষয় পেলাম— আইনের দর্শন, আইনের প্রণয়ন এবং আইনের প্রয়োগ।
আইন প্রয়োগ একটি রাজনৈতিক অভিধা
প্রণয়নের মতো আইনের প্রয়োগও একটি রাজনৈতিক ধারণা। ‘রাজনৈতিক ধারণা’ বলতে আমরা যতোটা সরল করে ভাবি, ততোটা সরল নয় অবশ্য। এখানে রাজনৈতিক ধারণা খানিকটা মতাদর্শ-ঘনিষ্ঠ।
ধরা যাক, ‘মৃত্যুদণ্ড’ প্রদানের বিধান সারা পৃথিবীতে একযোগে রহিত করা হলো। এর ফলাফল কী হবে? আপনি যখনই এই প্রশ্নটির উত্তর খুঁজতে যাবেন আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে— কোনো একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সাইকেল চালিয়ে অফিস করছেন আবার কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান চূড়ান্ত নিরাপত্তার ভেতরে থেকেও নিহত হচ্ছেন। কোথাও প্রধানমন্ত্রী সামান্য অপরাধ করলেও তার শাস্তি হচ্ছে আর কোথাও পাড়ার ওয়ার্ড কমিশনার দিনের পর দিন অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। কোথাও ভোট হয় সাতদিন ধরে, নাগরিকদের মধ্যে যাদের ইচ্ছে গিয়ে ভোট দিয়ে আসেন আর কোথাও সাতঘণ্টা ভোট চললেই নব্বইজন মানুষ নিহত হবার খবর পাওয়া যায়। অর্থাৎ আপনার চোখের সামনে কতোগুলো রাজনৈতিক ছবি ভেসে উঠছে। ‘মৃত্যুদণ্ড’ প্রদান রহিতকরণের ফলাফল হিশেবে আপনার মস্তিষ্কের গ্রে সেলগুলো রাজনৈতিকভাবে সাড়া দিচ্ছে। আপনার সামনে এমন একটি পৃথিবীর ছবি ভেসে উঠছে, যে পৃথিবী যৌক্তিকভাবেই বহুধা বিভক্ত। নেতিবাচক অর্থে আমরা একে বিভক্ত বললেও ইতিবাচক অর্থে আপনি বলতে পারেন বৈচিত্র্য। কিন্তু এই বিচিত্রতাও একটি জনপদের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে। সুতরাং দিনশেষে আপনি এমন একটি পৃথিবীর বাস্তবতা কল্পনা করতে পারেন না, যেখানে কোনো বৈষম্য বা বৈচিত্র্য নেই। কিন্তু আমরা যেটা পারি, তা হলো— এই বিচিত্রতার সুরে গান গাইতে পারি, এই বৈষম্যের বিলোপ ঘোষণা করতে পারি। সে আলোচনা অবশ্য এখানে প্রাসঙ্গিক নয়।
মৃত্যুদণ্ডের বিধান: থাকবে নাকি থাকবে না
এই প্রশ্নের উত্তর যদি কেউ একশব্দে দেন— আমি আপনার উত্তরের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবো। আমার এই সন্দেহকে আপনি যেনো ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতা না ভাবেন, সে কারণেই বলছি— প্রতিটি মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পিছনে একটি অপরাধ সংঘটনের ঘটনা থাকে, এক বা একাধিক অপরাধী থাকে। এখন এই অপরাধীকে আদালত মৃত্যুদণ্ড দেবে কি দেবে না— সেটা নির্ভর করে অপরাধের ধরন ও তার ফলাফল দেখে। এসব ক্ষেত্রে বিজ্ঞ পাঠক হয়তো রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দেবার যে মাহাত্ম্য তাঁর পরিবার দেখিয়েছে— সে প্রসঙ্গে আলোচনা করতে চাইবেন। কিন্তু আমি বলবো— এই ক্ষমা করে দেবার কারণ যতোটা না মাহাত্ম্য, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক। এই উদাহরণ টেনে আপনি হয়তো ভাবতে পারেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন কেনো বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের ক্ষমা করতে পারেন না। পারেন না তার কারণও রাজনৈতিক। লক্ষ্য করুন পাঠক, ১৯৯১ সালের মে মাসে নিহত রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীরা ক্রমেই রাজনৈতিকভাবে অপসৃয়মান হয়ে গেছে। ২০০৯ সালে এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামী ভি প্রভাকরণ মারা যান। সুতরাং ক্ষমা করে দেবার পুরো বিষয়টি রাহুল গান্ধীর কাছে এখন নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়া আর কিছু না (সম্প্রতি ভারতে হয়ে যাওয়া নির্বাচনের একাধিক প্রচারণা সভায় রাহুল এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন)। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুকে যারা সপরিবারে হত্যা করেছিলো, সেই হত্যাকারীরা একটি রাজনৈতিক বলয় তৈরি করেছিলো, যা আজও ক্রিয়াশীল। সেই বলয় ভাঙতে না পারলে স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়ো ট্র্যাজিডি ১৯৭৫ পনেরোই আগস্টের পুনরাবৃত্তি ঘটবে বারবার। সুতরাং মৃত্যুদণ্ড থাকবে কি থাকবে না— এটি একটি স্থান-কাল-পাত্র নিরপেক্ষ বক্তব্য। গোটা পৃথিবীতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করা হোক— এই বক্তব্য বড়োজোর অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজের একটি কভার ফটো হতে পারে— কিন্তু এটি পৃথিবীর বিধান হতে পারে না। কারণ পৃথিবী ও তার রাজনীতি কোনো বায়বীয় ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়। মৃত্যুদণ্ডের বিধান তাই থাকতে হবে— কারণ পৃথিবীর অপরাধবিজ্ঞান এখনও এই দণ্ড দাবি করে। কারণ, অপরাধ কেবল একজন ব্যক্তির স্খলন নয়, অপরাধের একটি রাজনৈতিক চরিত্র আছে, অপরাধীর আছে রাজনৈতিক মতাদর্শ।
এ ধরনের আলোচনায় সবচেয়ে বড়ো একটি জায়গা জুড়ে থাকে ‘মানবিকতা’। মানুষ থেকেই তো মানবিকতা— তাহলে মানুষ যদি পরিবর্তনশীল হয়, মনস্তত্ত্ব যদি প্রেক্ষিত-নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে মানবিকতা একটি সার্বজনীন ধারণা হয় কী করে! সুতরাং মানবিকতারও একটি ভূগোল আছে, রাজনীতি আছে, সমাজবিজ্ঞান আছে। এর বাইরে গিয়ে মানবিকতাকে যদি আমরা আলাদা করতে যাই, তবে তা একা হয়ে যাবে। এই নিঃসঙ্গ মানবিকতা এতোটাই ভয়ঙ্কর ও অপরিণামদর্শী যে, সে হোলি আর্টিজানের জঙ্গী সন্ত্রাসী আর তাদের হাতে নিহতদের একই পাল্লায় রাখে।
জন লেননের ‘ইমাজিন’ আর গণসঙ্গীত ‘উই শেল ওভারকাম’
গত শতাব্দীর অবিস্মরণীয় দুটো গান। কেনো এই প্রসঙ্গে এ দুটো গানের অবতারণা করলাম? বিট্লস ভক্তরা আমাকে নিন্দা করতে পারেন কিন্তু এই বক্তব্য আমাকে রাখতেই হবে যে— লেনন নয়; বরং গত শতাব্দীর সবচেয়ে বড়ো রাজনৈতিক গানটি রচিত হয়েছিলো তামাক শিল্পের শ্রমিকদের কণ্ঠ থেকে। আবার এমনও হতে পারে— লেনন অনেক বেশি রাজনৈতিক ছিলেন বলেই তিনি আমাদের কল্পনা করতে বলেছেন এমন এক পৃথিবীর কথা, যা আজও আমাদের কল্পনাতেই রয়ে গেছে। লেনন হয়তো জানতেন— এই পৃথিবী বেঁচে থাকবে তাঁর গান আর আমাদের কল্পনায়। কিন্তু পিট সিগার যখন ‘উই শেল ওভারকাম’ গানটি তাঁর পত্রিকায় প্রকাশ করলেন— তখন তিনি সম্ভবত বুঝেছিলেন— এই গান হবে আমাদের রাজনৈতিক ইশতেহার। ফলে এই গানে বারবার জয় করার প্রসঙ্গ এসেছে। কী জয় করতে হবে আমাদের? জয় করতে হবে সেই যুদ্ধটা, যা প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত ঘটছে দানব আর মানবের মাঝে। আরেকটু পরিস্কার করলে— প্রতিদিন এই যুদ্ধটা জয় করতে হয় আমাদের নিজের সঙ্গে— কারণ শুভ-অশুভের দ্বন্দ্বটা তো ব্যক্তিগতও। এই ট্রায়াল এন্ড এররের মধ্য দিয়ে আমাদের সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে, যাবেও। আমরা জানি না— কোনো একদিন হয়তো নিশ্চয়ই আসবে— যেদিন মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখার কোনো প্রয়োজনীয়তাই থাকবে না। কিন্তু সেই পর্যন্ত পৃথিবীটা ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ ও প্রলয়মুখর। এই সংগ্রামে টিকে থাকার একটি লড়াই থাকে এবং তাতে রাজনীতি অবধারিতভাবেই থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে আমরা তাকে অস্বীকার করি কিনা। যদি করি, তবে ধরে নিতে হবে আমাদের যাত্রা আসলে অগস্ত্য যাত্রা। মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকা না-থাকা প্রসঙ্গে আমরা একটি গড়পরতা— ওই পক্ষ নিতে হয় বলেই নেয়া টাইপের অবস্থান ব্যক্ত করি।
লেখাটি শেষ করার আগে একটু বলি— গত কয়েক শতাব্দীর সবচেয়ে বিভ্রান্তিমূলক ও সবচেয়ে শক্তিশালী বাক্যটি আমার কাছে মনে হয়েছে অ্যারিস্টটলের— ম্যান ইজ অ্য সোশ্যাল এন্ড পলিটিক্যাল বিং। মানে আপনি সমাজে থাকবেন, মিলেমিশেই থাকবেন এবং রাজনীতিকে নিয়ে থাকবেন। অর্তাৎ আপনি মতাদর্শমুখী হবেন বা মতাদর্শের জনক-জননী হবেন। হতেই হবে, যেহেতু আদর্শ রাজনীতির একটি অন্যতম ভিত্তি। অর্থাৎ সমাজে আপনি একটি পক্ষকে অবলম্বন করবেন— এটি রাজনৈতিক; অন্যপক্ষের অস্তিত্বকে সসম্মানে স্বীকার করবেন— এটা সামাজিক। এখন এই সামাজিক তত্ত্ব— অর্থাৎ সসম্মানে স্বীকার করবেন কি করবেন না— সেটি নির্ভর করবে আবার রাজনীতির ওপর। এখন আপনি যদি আমাকে জন লেননের মতো একটি বাক্য বলতে বলেন— যেটি আমার আপনার কল্পনাতে থাকবে— তাহলে আমিও বলবো— এমন এক পৃথিবী হোক, যেখানে কেবল মৃত্যুদণ্ড কেনো, যে কোনো দণ্ড রহিত হোক, যেহেতু অপরাধীই থাকবে না বা থাকলেও তারা হবে খুব বিচ্ছিন্ন বা সাইকোপ্যাথ, যার সংশোধন সম্ভব সংশোধনাগারেই। আর যদি রাজনৈতিকভাবে বলি— তবে এ পৃথিবী দ্বন্দ্বের আর দ্বান্দ্বিক পৃথিবীতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান তুলে নেবার আগে অনেকগুলো সিঁড়ি নির্মাণ করতে হবে এবং সেগুলো যথাযথভাবে পার হতে হবে। সে পর্যন্ত, আপনার সঙ্গে আপনার যেটুকু দ্বিমত, তাকে আমি শ্রদ্ধা করি।