শুভ জন্মদিন মহানায়ক

বেঁচে থাকলে আজ তিনি পঁচাশি বছরে পা দিতেন। তখন কেমন দেখাতো তাঁকে? তিনি কী বুড়ো হয়ে যেতেন? চুলে পাক ধরতো? শরীরে মেদের উপস্থিতি নিয়েও পর্দার সামনে দাঁড়িয়ে নিরন্তর আওড়াতেন নায়ক কিংবা নায়িকার পিতার সংলাপ? তারপর স্যুটিং ফ্লোরের ব্যস্ততা সেরে বাড়ি ফিরতেন। ক্লান্তি-শ্রান্তি নিয়ে শরীর এলিয়ে দিতেন শোবার ঘরের ইজি চেয়ারে। চোখ আলতো বুজে আসতো- অমনি…

Details

শহিদ রুমী: আমার ফ্ল্যাশব্যাকে, আমার প্রত্যাশায়

একটি বিশেষ স্টাইলে নিজের তোলা একটি ছবি বাঁধিয়ে রাখার খুব ইচ্ছে আমার। কোমরে হাত, ঘাড়টা আমার ডান হাতের দিকে বাঁকানো। অবশ্য ছবিটা যিনি দেখবেন, তার মনে হবে আমি বাঁ দিকে ঘাড় কাত করে রেখেছি। ছবিটার উপরে অ্যামবুশ করে লিখে রাখা হবে জীবনানন্দ দাশের সে-ই অনন্য কবিতার পঙক্তি, আবার আসিবো ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়.. ..…

Details

নক্ষত্রের তলে শুয়ে ঘুমায়েছে যে জন

শান্তি নিকেতনের বাতাসটা কেমন? ওখানকার বাতাসে কি রবীন্দ্রনাথ মিশে থাকেন? ওখানকার বৃষ্টিতে, কিংবা রোদের অ্যানাটমি জুড়ে কি রবিঠাকুরের নিবিড় বসত? রবীন্দ্রনাথ উপনিষদের দর্শনে সাহিত্যচর্চা করতেন। বোধ করি তিনি সে জন্যই বলে গিয়েছিলেন, ‘তোমারে যা দিয়েছিনু, তা তোমারি দান। গ্রহণ করেছো যতো, ঋণী ততো করেছো আমায়.. ..’। কবিগুরুর কোনো অভিযোগ ছিলো না কারও বিরুদ্ধে। তাই বুঝি…

Details

মিশুক মুনীর: তুমি রবে নীরবে

এমন একটি লেখা লেখার ইচ্ছে আমার ছিলো না। নিঃসঙ্গ বাতায়নের সাথে গুবাক তরুর সারির কথোপকথন আর কখনো হবে না। এ-ও এক ট্র্যাজিডি- গ্রীক ট্র্যাজিডির সাথে সামঞ্জস্য; কেবল ভাগ্য দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়- কিংবা এরও বাইরের কিছু। আমি জানি না, ক্যামেরার কোন অ্যাঙ্গেলে কথা বলতে ভালোবাসতেন আশফাক মুনীর মিশুক। জীবনের ভিউ ফাইন্ডারে চোখ রেখে তিনি কী কোনোদিন…

Details

মিশুক মুনীর ও তারেক মাসুদ: নিঃসঙ্গ সময়ের সারথি

এমন একটি লেখা লেখার ইচ্ছে আমার ছিলো না। নিঃসঙ্গ বাতায়নের সাথে গুবাক তরুর সারির কথোপকথন আর কখনো হবে না। এ-ও এক ট্র্যাজিডি- গ্রীক ট্র্যাজিডির সাথে সামঞ্জস্য; কেবল ভাগ্য দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়- কিংবা এরও বাইরের কিছু। আমি জানি না, ক্যামেরার কোন অ্যাঙ্গেলে কথা বলতে ভালোবাসতেন আশফাক মুনীর মিশুক। জানি না সেলুলয়েডের সাথে কেমন প্রেম ছিলো তারেক…

Details

জ্বলছে ইংল্যান্ড, ফাঁসিতে ঝুলন্ত ক্ষুদিরাম: দাবার ছকটা ইতিহাসের

পেরিয়ে যাবার একটি ব্যাকরণ আছে, অতিক্রম করে যাবার একটি নিয়ম আছে। আবার কখনো কখনো এমন হয়েছে অতিক্রম করে গিয়েও নিজেকে ধরে রাখা যাচ্ছে না। ফিরে আসতে হচ্ছে গান গাইতে গাইতে। ওই যে গান আছে না- ফিরে চল ফিরে চল মাটির টানে.. .. কয়েকটি সত্য আছে, মুখোমুখি হওয়া যায় না। তখন আমরা বলি- ওভাবে নয়, একটু…

Details

নির্বাক হলেন প্রথম সবাক বাঙলা চলচ্চিত্রের শিল্পী আমিনুল হক

ফিল্ম  রিভিউ ম্যগাজিনে একবার একটি নিবন্ধ ছাপা হয়েছিলো- যার একটি অংশের বাঙলা তরজমা করলে দাঁড়ায়- পরিচালক অনেকাংশেই চলচ্চিত্রের মূল-কাঠামোতে দৃষ্টি রাখেন, এতে ছোটো ছোটো অনেক ক্ষেত্রে দৃষ্টি দেয়া তার পক্ষে সম্ভব হয় না। ওই কাজটি একজন দক্ষ অভিনয়-শিল্পী করে থাকেন। এই জাতীয় অভিনয় শিল্পীরাই পরিচালকের ফরমায়েশ পেরিয়ে আরও কয়েক কদম এগিয়ে আসেন- এবং কার্যতই এতে…

Details

জ্ঞান-সাধনার সমার্থে এক মহৎ বাঙালি

এ বছর বর্ষাটা বেশ জেঁকে বসেছে। একেবারে আষাঢ়ের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি-জলের গান। আকাশ অন্ধকার করে, মেঘলা গলির কিনারা ঘেঁষে বৃষ্টি এসে নামছে আমাদের প্রাত্যহিক বারান্দায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সন্ধ্যা থেকে রাত্রি। তারপর রাত্রির সুগভীর সুনশান ভেদ করে আবার শুরু হয় বৃষ্টি। এ যেনো পুরো সময় জুড়ে থাকা বৃষ্টির সাহানা সুর- আলিঙ্গন…

Details

নীলিমা ইব্রাহিম: বাঙালির নিভৃত নিরঞ্জনা

এক আকাশের দিকে তাকালে ‘সাঙান গগনে ঘোর ঘনঘটা’র কথাই মনে হয়। এ যে আষাঢ় মাস, বর্ষা ঋতু- সে আর পঞ্জিকার পাতা খুলে বলতে হয় না। প্রকৃতিই সময়ের দর্পন হয়ে দেখা দেয়। বর্ষা বাঙালির প্রাণের ঋতু- অনেকভাবেই ভেবেছি কথাটা; সত্যিই এ ঋতু আমাদের ফসলের ঋতু, রবীন্দ্রনাথের ঋতু, পদাবলীর ঋতু আর অবশ্যই কালিদাসের ঋতু। নানা বাঁকে বর্ষা…

Details

ফিরে দেখা নিমতলী ট্র্যাজিডি

গত ৩ জুন পালিত হলো নিমতলী ট্র্যাজিডির এক বছর। ২০১০ সালে সংগঠিত এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিঃশেষ হয়ে যায় অনেকগুলো প্রাণ, স্তব্ধ হয়ে যায় শত কণ্ঠস্বর; আর সেই সাথে ধুলিস্যাৎ হয় কতো কতো স্বপ্ন- তার কোনো হিসেব নেই। এক বছর পর নিমতলীতে সংগঠিত সেই ভয়াবহ অগ্নিকা–ের দিকে ফিরে তাকালে আজও আমরা আতঙ্কিত হই। মনে…

Details

আত্মমগ্নতার নিবিড়তায় দোল খায় কিবরিয়ার ক্যানভাস

সময়টা ১৯২৯। ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিচারে ভারতীয় উপমহাদেশ তখন নানা ঘাত-প্রতিঘাতে উচ্চকিত। চেতনার শানিত অস্ত্রে একে একে তৈরি হচ্ছে ভারতবর্ষের প্রতিটি ঘর, প্রতিটি পরিবার। ইংরেজ শাসনের করালগ্রাস থেকে মুক্ত হবার এক দুর্দমনীয় আকাঙ্ক্ষা সারা ভারতীয় উপমহাদেশকে তখন মাতিয়ে রেখেছে নানা তরঙ্গে। সেই উদ্বেল তরঙ্গের দোলাতেই গুনে গুনে আঠারো বছর পর, অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়।…

Details

এক নীল ছোঁয়া কিংবদন্তীর অন্তর্ধান

আকাশটা খুব মেঘলা। বেশ কিছুদিন ধরেই। রোদ আর এই বৃষ্টির এক খামখেয়ালি সময়। বাতাসটা বেয়াড়া, কখনো বা শান্ত। কিন্তু এই মাত্র যে বাতাসটা ছুঁয়ে গেলো- তা শান্তও নয়, আবার অশান্তও বলা যায় না। এ যেনো এক খবর নিয়ে এসেছে। তার করতলে জমে আছে সীমানা পেরোনো দীর্ঘশ্বাস। কণ্ঠস্বর ক্ষীণ। ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু এক ঝোলায় যেনো কার চিঠি…

Details

‘কবি’- তারাশঙ্করের তর্পণ ও তপস্যার দর্পণ

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর বাঙলা কথাসাহিত্যের এক প্রাতঃস্মরণীয় নাম। একালে সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বের আগ্রাসী তৎপরতা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে মানব অস্তিত্বকে; নৈরাজ্য-নৈরাশ্য-অনিশ্চয়তা-ক্লেদ-শঙ্কা আর মনস্তাপে বৃহদাংশ মানুষ খনন করেছে আত্মপ্রতারণার নির্বিঘ্ন বিবর। অপরদিকে সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের ইতিবাচক দৃষ্টান্ত অধিকার সতর্ক একাংশ মানুষকে করেছে আশাবাদে সন্দীপিত, প্রাণিত করেছে স্বপ্নময় আলোকময় ভবিষ্যত রচনায়। তবুও প্রত্যাশার বিপরীতে নিরাশার আধিপত্যই মহাসমরোত্তর বিশ্বমানসের প্রবল ও…

Details

হঠাৎ এক আশ্চর্য বিকেল

লেখার কতোটুকু ফরমায়েশি আর কতোটুকু আয়েশি? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া ভার। তবে এর মাঝেও একটি সান্ত্বনা এই যে- মানুষ কিছু প্রশ্নের কোনো উত্তর প্রত্যাশা করে না। যেমন, ছোটোগল্প আসলে কতো ছোটো? কিংবা মনেরও কি মন আছে? তাই লেখা যেমনই হোক- তার উৎসমূলের হিসেব খুঁজতে যাওয়াটা বোধ হয় উচিত হবে না- কারণ এটি রবীন্দ্রনাথের লেখা…

Details

শিক্ষায় বাণিজ্যিকীকরণ

মনীষী সক্রেটিস শিক্ষার সংজ্ঞায় বলেছিলেন, ভেতরের সম্ভাবনাকে বাইরে নিয়ে আসার মাধ্যমে মিথ্যার অপনোদন এবং সত্যের বিকাশ। অর্থাৎ সামগ্রিক অর্থেই শিক্ষা হলো পদ্ধতিগত জ্ঞানলাভের একটি প্রক্রিয়া, যা বিকশিত ব্যক্তিত্ব এবং মানবিক বোধের পরিপূর্ণ প্রকাশ অব্যাহত রাখে। যে কোনো জাতি গঠনে শিক্ষা, বিশেষত উচ্চশিক্ষা, এক অপরিহার্য উপাদান। তবে এ উচ্চশিক্ষার প্রকৃতি ও উপযোগিতাই নির্ধারণ করবে একটি জাতি…

Details